
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এখন বেশ টেনে টেনে কথা বলেন, ক্রিকেটের ধারাভাষ্যকার শরাফতের মতো ভাষায়। বেশ মজারই মনে হয়। শেখ হাসিনা প্রবীণ রাজনীতিক মরহুম জিল্লুর রহমানকে অনেক বয়স পর্যন্ত দলের সাধারণ সম্পাদক করে রেখেছিলেন। পরে ‘পুরস্কার’ হিসেবে তিনি তাকে দেশের প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত করেছেন। সে তুলনায় ওবায়দুল কাদের অনেক তরুণ। তার আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, স্বাধীনতাযুদ্ধের অন্যতম স্থপতি মরহুম সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে। শেখ মুজিবুর রহমানের স্থলে বাংলাদেশের প্রবাসী সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল। তিনি ছিলেন একান্তই একজন নির্লোভ ব্যক্তি; সজ্জন মানুষ। তার ছেলে সৈয়দ আশরাফ সম্পর্কে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ছিল। কিন্তু কোনো দুর্নীতির অভিযোগ ছিল না। তিনিও নিপাট ভদ্রলোক। এত দিনের রাজনীতিতে কখনো কাউকে গালিগালাজ করেননি, কটু কথা বলেননি। দলের দৃষ্টিতে সেটা তার দোষ হয়ে থাকতে পারে। এখনো মন্ত্রিসভায় আছেন, তবে না থাকার মতো। সে হিসেবে দলকে চাঙ্গা করতে শেখ হাসিনা একজন তরুণ নেতাকে দলের সাধারণ সম্পাদক করতে চেয়েছিলেন। আর সে কারণেই বোধকরি ওবায়দুল কাদেরকে এ পদে নিয়োগ দিয়েছেন।
সাধারণ বিবেচনায় দেখলে বলা যায়, দলের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার দাবিদার ছিলেন তোফায়েল আহমেদ। ১৯৬৯ সাল থেকে তোফায়েল আহমেদ আওয়ামী রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। শেখ মুজিবুর রহমানও তাকে যথার্থ মূল্যায়ন করেছিলেন। তিনি হয়েছিলেন শেখ মুজিবের প্রথমে রাজনৈতিক সচিব, পরে বিশেষ সহকারী। কিন্তু রাজনীতির দাবায় একটা ভুল চাল বিরাট বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। তোফায়েল তেমন চালের শিকার। তিনি সেনাসমর্থিত সরকারের আমলে আওয়ামী রাজনীতিতে সংস্কার আনতে চেয়েছিলেন। সেই অসাংবিধানিক সরকার বিএনপিকে টুকরো টুকরো করে আওয়ামী লীগে সংস্কার আনতে চেয়েছিল। সে সংস্কার প্রস্তাব ছিল দুই টার্মের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্ট বা দলের প্রধান থাকতে পারবেন না। আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম আবদুর রাজ্জাক, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সেনাসমর্থিত সরকারের এই প্রস্তাব সমর্থন করেছিলেন। সংক্ষেপে আদ্যাক্ষর মিলিয়ে এই চার নেতাকে বলা হতো ‘র্যাটস’ (জঅঞঝ)। সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে পুনরায় ক্ষমতায় বসে এই চারজনকে প্রেসিডিয়াম থেকে বাদ দিয়ে উপদেষ্টামণ্ডলীতে ঠেলে দেন শেখ হাসিনা। বিদায় করে দেন আবদুর রাজ্জাককে। পরে বাকি তিনজনকে মন্ত্রিসভায় স্থান দিলেও স্পষ্ট করেই তাদের জানিয়ে দেন যে, ‘তিনি তাদের ফরগিভ করেছেন, ফরগেট করেননি।’ ফলে কপাল পোড়ে তোফায়েল আহমেদের।
অপর দিকে, কপাল খোলে ওবায়দুল কাদেরের। আওয়ামী লীগের কাউন্সিল শেষে অনেক জল্পনা-কল্পনা ছিল- কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক? সৈয়দ আশরাফই থাকবেন, নাকি ওবায়দুল কাদের হবেন? তবে শেষ পর্যন্ত ওবায়দুলেরই জয় হয়। সড়ক-সেতুমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই তার কথার ধরন বদলে গিয়েছিল। তিনি টেনে টেনে কথা বলতে শুরু করেছিলেন। এক দিকে মন্ত্রিত্বের ক্ষমতা, অন্য দিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দাপট- এই দুটি মিলে তিনি তালছাড়া হয়ে গেছেন বলে কেউ কেউ মনে করেন। এমপিকে চড় মারেন, অফিসারকে থাপ্পড় মারেন, ড্রাইভারকে রাস্তার ওপর কান ধরে উঠবোস করান- এমন সব কাণ্ড করে তিনি ‘ফাটা কেষ্ট’ নাম পেলেন দুর্মুখদের থেকে। ‘ফাটা কেষ্ট’ ভারতীয় সিনেমার এক মাস্তানের নাম। তিনি এক দিনের জন্য মন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। মন্ত্রী হয়ে সব কিছু সোজা করে দিতে চেয়েছিলেন। ঘুষ, দুর্নীতি, অন্যায়, অত্যাচার, উৎখাত করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। তিনি নিজে রাস্তায় নেমে অন্যায় অবিচারের প্রতিবাদ হাতেনাতে করতে শুরু করেছিলেন। দিন শেষে আবার যথারীতি ‘ফাটা কেষ্ট’ হয়ে গিয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই ওবায়দুল কাদেরের এমন অভিধা পছন্দ হয়নি। তিনি বারবার বিভিন্ন স্থানে বলেছেন, আমি ‘ফাটা কেষ্ট’ নই। অবশ্য তার ক্রিয়াকাণ্ড নিয়ে যথারীতি নানা প্রশ্ন বহাল আছে।
বিরোধী দলকে নানা রকম শ্লেষাত্মক ভাষায় আক্রমণ করা তার যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তার নেত্রীও সম্ভবত এই কারণে তাকে খুব পছন্দ করেন। বড় বড় কথাবার্তা বলে কাজ যদি হয়ও, তবু তার চেয়ে অনেক বাড়িয়ে বলেন। এ দিকে, দু-চারটা রাস্তা ঝকঝকে হলেও সারা দেশের বেশির ভাগ সড়ক বেহাল। লুণ্ঠন এ খাতে নিত্যদিনের ঘটনা। ফলে সড়ক মেরামতের মাসখানেক যেতে না যেতেই সেগুলো মুখ ব্যাদান করে খানাখন্দে পরিণত হয়ে যায়। তার সচিত্র প্রতিবেদন প্রতিনিয়তই মিডিয়ায় প্রকাশিত হচ্ছে। কিন্তু মন্ত্রীর কথার তুবড়ি বন্ধ হচ্ছে না। তিনি একই গীত বারবার গেয়ে চলেছেন। তিনি কথার বাহাদুর পরিণত হচ্ছেন। আর এমন সব কথা বলছেন, যাতে চমকে উঠতে হয়। গত ১১ জুন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে ছাত্রলীগের বর্ধিত সভা ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তোমরা অপকর্মে লিপ্ত হবে না। টাকার দরকার হলে আমার কাছে এসো। যখন ছাত্রত্ব শেষ করবে, চাকরি দরকার, আমার কাছে আসবে। কিন্তু এমন কিছু করবে না, যাতে সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। ক্ষমতাসীন দল করলেই যে চাকরি হবে, সে নিশ্চয়তা নেই। রিটেনে (লিখিত পরীক্ষায়) টিকবে, তারপর। নিয়ম মতো প্রত্যেকের জন্য চেষ্টা করব।’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি যে কথা বলেছেন তার সুদূরপ্রসারী অর্থ খুবই বিপজ্জনক। তবে কি ওবায়দুল কাদের টাকার খনির সন্ধান পেয়েছেন যে, ছাত্রলীগের যেকোনো কর্মী গেলেই তিনি পর্যাপ্ত টাকা দিয়ে দিতে পারবেন তাকে? তার কাছে এত টাকা কোথা থেকে এলো? সেটা কি দুর্নীতির মাধ্যমে তার হস্তগত হয়েছে, নাকি এর পেছনে ভিন্ন কোনো কৌশল আছে?
সে কৌশল আর কী হতে পারে- বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে বলা যায়, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি,কন্ট্রাক্টরি, এসব হওয়াই সম্ভব। ছাত্রলীগ সর্বত্র এ ধরনের অপকর্মে লিপ্ত আছে, লিপ্ত নিয়োগ বাণিজ্যেও। অধিকাংশ ছাত্র নাম বহাল রেখে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও নিয়োগবাণিজ্য করে থাকে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক থেকে পিয়ন নিয়োগের ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি সর্বজনবিদিত। তা নিয়ে মারামারি হানাহানি কম হয় না। কখনো বা হত্যাকাণ্ডের মতো মর্মান্তিক ঘটনাও ঘটে। কিন্তু সে সময় ওবায়দুল কাদেরকে সরব হতে দেখি না। টাকা দেয়ার আরেক কৌশল হলো, কন্ট্রাক্টরি। যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবে ওবায়দুল কাদেরের কাছে অনেক কাজ, তাহলে সেসব কাজ তিনি কি বিনা টেন্ডারেই ছাত্রলীগ নেতাদের দিয়ে দিতে চান? এর পরিণতি কী হয়, সেটা আমরা সড়কে দেখেছি, ভবনেও দেখেছি। নির্মাণকাজ হতে না হতেই সড়কের খোয়া বেরিয়ে পড়ে, সেতু-কালভার্ট ভেঙে পড়ে। তা নিয়ে এই মন্ত্রী মুখ খুলতে দেখি না। আরো বিপজ্জনক বিষয় দেখেছি ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে। সেখানে রডের বদলে ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগ নেতারা ব্যবহার করেছেন বাঁশ। ফলে এসব ভবন ভেঙে পড়তে দেরি হয় না। কিন্তু ওবায়দুল কাদেরকে এসব বিষয়ে একটি কথাও বলতে শুনিনি। এর অর্থ তিনি যদি ছাত্রলীগকে টাকা দিতে চান, তাহলে এ সব বেপথেই তাকে দিতে হবে। সম্ভবত তারা টাকা পাচ্ছে- যার পরিণতিতে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগারদের পকেটে ঢুকেছে। আগে যে নেতা হেঁটে চলত, এখন সে নেতাই চড়ে লেটেস্ট মডেলের গাড়িতে। ছাত্রলীগের নেতারা বিয়ে করতে যায় হেলিকপ্টারে চড়ে।
একইভাবে, কাদের চাকরির কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ছাত্রলীগারদের যদি চাকরির দরকার হয়, তাহলে যেন তার কাছে যায়। অর্থাৎ যা কিছু চাকরি আছে, তা মেধাবীদের জন্য নির্ধারিত নয়- ছাত্রলীগের ক্যাডারদের জন্য রিজার্ভ করা আছে। তিনি অবশ্য বলেছেন, রিটেন পরীক্ষায় পাস করতে হবে, কিন্তু সে তো জলবৎ তরলং। কারণ এসব প্রশ্ন যেখানে তৈরি হয়, সেটাও হয় সরকারি নিয়ন্ত্রণে। আর এমন কোনো প্রশ্ন কি আছে, যা ফাঁস হয় না? সুতরাং ছাত্রলীগারদের ফাঁস হওয়া প্রশ্ন দিয়ে রিটেনে পাস করানো সম্ভব, তা হচ্ছেও। আর তাই বঞ্চিত অসহায় মেধাবী ছাত্ররা রাস্তায় রাস্তায় মানববন্ধন করছে, প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। মেধা অবিরাম পরাভূত হচ্ছে।
এখানে আরেকটা বিষয় লক্ষণীয়। ওবায়দুল কাদের যে কথা ছাত্রলীগের উদ্দেশে একবারও বললেন না, তা হলো- ছাত্রলীগ বা আওয়ামী লীগের আদর্শের কথা। তাহলে কি আদর্শ বিষয়টা আওয়ামী লীগের অভিধান থেকে মুছে গেছে? আসলে আদর্শ মানে টাকা, এখন আদর্শ হলো, মেধাহীন সন্ত্রাসী অস্ত্রবাজ ছাত্রলীগারদের জন্য সরকারি চাকরির ব্যবস্থা। ওরা হবে ভবিষ্যতে রাষ্ট্র পরিচালনার কর্ণধার। কিন্তু এত অধপতিত এই দল একসময় ছিল না। তাদের সামনে আমরা মানি বা না মানি, একটি সুনির্দিষ্ট আদর্শ ছিল- হোক সেটা স্বায়ত্তশাসন বা জনমানুষের কল্যাণ। এখন সে আদর্শ ধুলায় মিশে গেছে। তাদের একমাত্র আদর্শ হয়ে উঠেছে টাকা এবং সব লীগ মিলে লুট করে নিচ্ছে বাংলাদেশ।
ওবায়দুল কাদের উপলব্ধি করেছেন যে, অনিয়ন্ত্রিত লুটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এমপি নেতা পাতি-নেতা এমন কি কর্মীরা পর্যন্ত বিপুল বিত্তের মালিক হয়ে গেছেন। তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তাই তিনি চিন্তিত। আর তাই তাদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘অবৈধভাবে উপার্জন করা অর্থ দিয়ে কী করবেন, দল যদি ক্ষমতায় না থাকে? দলকে ক্ষমতায় রাখতে এবং আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যাতে আবারও জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে পারে, সে জন্য সব অর্থ দেশের জন্য, জনগণের উন্নয়নের জন্য ব্যয় করুন। সরকার ক্ষমতা হারালে টাকা-পয়সা নিয়ে দেশ ছেড়ে পালাতে হবে। কারণ সেই অর্থ (অবৈধভাবে উপার্জন করা) ভোগ করতে হলে আপনাকে ক্ষমতায় থাকতে হবে।’ তাহলে ওপেন সিক্রেটটা দাঁড়াল যে, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় আওয়ামী লীগাররা অবৈধ পথে বিপুল বিত্তের মালিক হয়েছেন। ওবায়দুল কাদের এতে দোষের কিছু দেখেননি, বরং এই টাকা ছড়িয়ে আবারও নির্বাচনে জিতে দেশে থেকে কার্যত আরো অবৈধ বিত্ত বানিয়ে ভোগ করতে বলেছেন।
কিন্তু এ রকম তো হওয়ার কথা ছিল না। কেউ যদি অবৈধ পথে বিত্তের মালিক হয়, তবে তাকে দুর্নীতির দায়ে আদালতে সোপর্দ করার কথা। সেটা যে একেবারে করা হচ্ছে না, তাও নয়। কিন্তু আওয়ামী লীগারদের জন্য অনেক ক্ষেত্রে সাত খুন মাফ। তাদের অবৈধ সম্পদ ভোগ করার পথ বাতলে দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক। এটা দুর্নীতিতে মদদ দেয়ার নামান্তর। গত ১২ জুন তিনি তার দলের লোকদের জন্য আরো এক সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগ নেতাদের জন্য বিভীষিকাময় দিন আসবে। তিনি বলেন, ‘আপনাদের মনে আছে সেই ২০০১ সালের কথা। তারা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়ি পুড়িয়েছে, পুকুরের মাছ ধরে নিয়েছে, গবাদিপশু নিয়ে গেছে। আর এখন বিএনপি নেত্রী বলছেন, ক্ষমতায় এলে এক কাপড়ে বের করে দেবেন।’ বুঝতে পেরেছেন, বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে তারা কত ভয়ঙ্কর হবে।’ তবুও ওবায়দুল কাদেরের এই উপলব্ধি ভালো যে, তিনি নিজেদের অপকর্ম সম্পর্কে আতঙ্কে অস্থির হয়ে গেছেন। গত ৯ বছরে এই সরকার জনগণের ওপর যে নির্যাতন করেছে, গুম, খুন, ধর্ষণের যে তাণ্ডব চালানো হয়েছে, হাজার পরিবারকে যেভাবে উদ্বাস্তু বানানো হয়েছে, তাদের অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে এর পরিণতি ভোগের জন্য।
লেখক : ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক
rezwansiddiqui@yahoo.com