Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

জাপানে পা রেখেই উত্তর কোরিয়াকে ধ্বংসের হুমকি ট্রাম্পের

trumpদীর্ঘ এশিয়া সফরের প্রথমদিনেই জাপানে পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রোববার সকালে জাপানের রাজধানী টোকিওতে পৌঁছান তিনি। এ সময় ট্রাম্পকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। খবর রয়টার্সের।

তার এশিয়া সফরে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের সঙ্গে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা আরো বাড়বে এবং পিয়ংইয়ংকে থামাতে চীনের ওপর কঠিন চাপ দেয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ট্রাম্পের এ সফরে পিয়ংইয়ং এর সঙ্গে কূটনৈতিক আলাপ আলোচনার রাস্তা অবারিত হবে এমনটাই প্রত্যাশা দক্ষিণ কোরিয়ার। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে এশিয়ার নেতাদের সঙ্গে আলাচনা করবেন ট্রাম্প।

chardike-ad

তার প্রশাসন উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ভিন্ন কোনো পরিকল্পনার কথা ভাবছে। গত কয়েকবছর ধরে যেসব পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে সেগুলোকে ট্রাম্প প্রশাসন পুরোপুরি দুর্বল পরিকল্পনা বলে উল্লেখ করেছে। তিনি বলেন, আমরা এ সমস্যার সমাধান চাই। এটা আমাদের দেশ এবং বিশ্বের জন্য একটা বড় সমস্যা। ২৫ বছর ধরে যেসব পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে তা ছিল দুর্বল পদক্ষেপ। আমরা ভিন্ন কোনো পদক্ষেপ নিতে চাই।

যুক্তরাষ্ট্রকে কারোরই অবমূল্যায়ন করা উচিত নয় উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, যে কেউ, কোনো স্বৈরশাসক বা কোনো সরকারেরই যুক্তরাষ্ট্রকে হেয় করা উচিত নয়।

এ সফরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের আশা করছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, পুতিনের সঙ্গে আমাদের সাক্ষাৎ হবে বলে আশা করছি। আমরা উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে পুতিনের সাহায্য চাই।

জাপানের স্থানীয় সময় রোববার দুপুরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে গলফ খেলবেন ট্রাম্প। এরপর একসঙ্গে দুপুরের খাবার খাবেন তারা। মধ্যহ্নভোজ শেষে এ দুই রাষ্ট্রপ্রধান দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন।

এশিয়া সফরের পথে তাকে বহনকারী বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের কাছে ট্রাম্প জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়াকে সন্ত্রাসে মদতদাতা দেশগুলোর তালিকায় যুক্ত করা হবে কি-না সে বিষয়ে খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

ট্রাম্পের সফর এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উত্তেজনা চরমে রয়েছে। জাপান সফর শেষে চীন, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া, ও ফিলিপাইনে যাবেন ট্রাম্প। গত ২৫ বছরে এশিয়ায় কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের এটাই সবচেয়ে দীর্ঘ সফর।