বিএনপিকে দেওয়া ২৩ শর্তে যা আছে

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রোববারের সমাবেশের জন্য লিখিত অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। ২৩ শর্তে তাদের এ অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। শনিবার দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানান।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, শনিবার বেলা ১১টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শহিদ উদ্দীন চৌধুরী অ্যানি ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয় থেকে অনুমোদনপত্র গ্রহণ করেন।

‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ পালনে ৮ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি চেয়েছিল বিএনপি। কিন্তু  ওই দিন সমাবেশের অনুমতি মেলেনি। পরে ১২ নভেম্বর সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে দলটি। আজ ডিএমপির পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হলো।

এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকেল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সে সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ম্যাডামের (বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া) দেশে ফেরার সময় বিমানবন্দরে যেতে নেতাকর্মীদের বাধা দেওয়া হয়। এর পরও সেদিন কীভাবে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছিল তা দেশবাসী দেখেছে।

যে সব শর্তে অনুমতি

ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মহা. আশরাফুজ্জামান স্বাক্ষরে বিএনপিকে দেওয়া চিঠিতে ২৩টি শর্তের উল্লেখ রয়েছে।

বিএনপিকে দুপুর ২টায় শুরু করে বিকাল ৫টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে বলা হয়েছে। সমাবেশ শুরুর সর্বোচ্চ ২ ঘণ্টা আগে নেতা-কর্মীদের ঢুকতে দেবে পুলিশ।

শর্তে যা যা আছে

–  বিকাল ৫টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে হবে।

– ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আসে- এমন কোনো ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য দেওয়া বা প্রচার করা যাবে না।

– লাঠি-সোঁটা, ব্যানার, ফেস্টুনের আড়ালে লাঠি-রড বহন করা যাবে না।

– মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসা যাবে না।

– উস্কানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।

– রাষ্ট্রবিরোধী, আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি বা জননিরাপত্তা বিরোধী কার্যকলাপ চালানো যাবে না।

–  সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন সংলগ্ন স্থানে অনুষ্ঠানের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

– সমাবেশের নির্ধারিত সময়ের আগে উদ্যান বা তার আশপাশের রাস্তা-ফুটপাটে সমবেত হওয়া যাবে না।

– যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়- এমন কিছু করা যাবে না।

–  নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠানস্থলের অভ্যন্তরে ও বাইরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।

–  নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

–  অনুমোদিত স্থানের বাইরে সাউন্ড বক্স ব্যবহার করা যাবে না।