Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

যৌন শক্তি বাড়াতে চীনে মানব ভ্রণের স্যূপ!

সিউল, ২৫ নভেম্বর ২০১৩:

বিচিত্র এই পৃথিবীতে কত বিচিত্র ঘটনোই না প্রতিনিয়ত ঘটছে। বিশ্বব্যাপী খবরের পাতায় ছাপা হওয়া এই ঘটনাগুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা জানতে পারছি। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার পত্রিকা সিউল টাইমস আজ যে খবরটি বিশ্ববাসীকে জানাল তা দেখলে গা শিউরে উঠবে। পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে চীনে যৌণ শক্তি বাড়াতে এবার মানব শরীরের ভ্রুন থেকে তৈরি করা হচ্ছে স্যুপ। শুধু মানব শরীরই নয় সদ্য জন্ম নেয়া শিশুদেরও ব্যবহার করা হচ্ছে এই স্যুপ তৈরিতে।

chardike-ad

ঘটনাটি সিউল টাইমসে যেভাবে আসে: কিছুদিন আগে সিউল টাইমসের অফিসিয়াল মেইলে মানব ভ্রুণ দিয়ে তৈরি কিছু স্যুপের ছবি ও তথ্য আসে। প্রথমদিকে কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি। তবে তারা এ নিয়ে যে ভাবেনি তা নয়। সিউল টাইমসের এক প্রতিবেদককে এ নিয়ে অনুসন্ধান চালানোর কাজ দেয় সম্পাদক।

7333-20080930092052
কিছুদিন পর চীনের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হতে থাকে। এবার গুরুত্ব দেয় সিউল টাইমস। তাইতো কয়েকজন প্রতিবেদককে নিয়ে একটি টিম তৈরি করে দেয়া হয় বিশেষ অ্যাসাইনমেন্ট। এবার বেরিয়ে আসে ভয়ঙ্কর সব তথ্য। আর এখন শুধু এই কারণে চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ ক্যানটন বা গুয়াংডন এবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

জানা গেল এই প্রদেশের পুরুষরা তাদের শারীরিক স্বাস্থ্য ও যৌন শক্তি বৃদ্ধির জন্য ভেষজ শিশু স্যুপ (herbal baby soup) খেয়ে থাকে! এক সন্তান নীতিতে বিশ্বাসী চীনের এক দম্পতির ইতোমধ্যেই একটি কন্যাসন্তান ছিল। মহিলাটি আবারো সন্তান-সম্ভবা হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানতে পারলেন তার দ্বিতীয় সন্তানটিও মেয়ে হতে যাচ্ছে। ততদিনে তার গর্ভস্থ সন্তানের বয়স ৫ মাস। তিনি ও তার স্বামী গর্ভপাত করানোর সিদ্ধান্ত নেন। স্বাভাবিকভাবে কোন শিশু যদি ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই মারা যায় তবে তাতে ২০০০ ইউয়ান খরচ হয়, সেখানে গর্ভপাত করাতে খরচ হয় মাত্র কয়েকশো ইউয়ান। তবে যারা মৃত শিশু বিক্রি করতে চান না, তারা ইচ্ছে করলে প্লাসেন্টা বা অমরা বিক্রি করতে পারেন ইচ্ছা করলে।

একজন স্থানীয় সাংবাদিক বলেন, এই সমস্যার উৎপত্তি মূলত হয়েছে চীনাদের মাত্রাতিরিক্ত স্বাস্থ্যসচেতনতার কারণে। এছাড়া অনেকের মতে, চীন সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ‘এক সন্তান নীতি” চালু করেছিল। আর এ হতভাগ্য শিশুগুলো এই নীতিরই নির্মম শিকার। তাইওয়ানে মৃত শিশুরা ৭০ মার্কিন ডলারে বিক্রি হয় গ্রিল করা ‘রুচিকর’ খাবার হিসেবে!

হং কং থেকে প্রকাশিত নেক্সট সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনে শিশুদের মৃতদেহ কিংবা ভ্রূণ স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য রক্ষার নতুন উপকরণ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এছাড়া প্লাসেন্টা বা অমরাকে সুস্বাদু খাবার হিসেবে খাওয়া হয়। এমনকি গুয়াংডনে হাসপাতালগুলোর মাধ্যমেই অনেক সময় এসব অঙ্গ কেনাবেচা হয় ও এগুলোর চাহিদা আকাশচুম্বী। এমন তথ্য পেয়ে সিউল টাইমস ম্যাগাজিনের অনুসন্ধানী প্রতিনিধিরা এগিয়ে যেতে থাকেন।

কিছুদিন আগে লিয়াওনিং এর একজন তাইওয়ানীজ ব্যবসায়ী একটি ভোজসভা আয়োজন করেন। তার মিস লিউ নামের একজন গৃহপরিচারিকা ছিল। ভোজের দিন অসাবধানতাবশত তার মানব শিশু ভক্ষণের বিষয়টি ঐ গৃহপরিচারিকার মাধ্যমে প্রকাশ পেয়ে যায়।মিস লিউ পরে এও বলেন, অনেক মানুষই মানবশিশু খেতে আগ্রহী, তবে চাহিদা অনেক বেশি। অনুসন্ধানী প্রতিবেদকের অনুরোধে মিস লিউ কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে প্রতিবেদককে সেই জায়গায় নিয়ে যান যেখানে মানব ভ্রূণ রান্না করা হয়।

প্রতিবেদক দেখলেন, একজন মহিলা একটি ছুরি দিয়ে ছেলে শিশু ভ্রূণ কেটে কুচি কুচি করছেন ও সেটি দিয়ে স্যুপ তৈরি করছেন। আর আশেপাশে মানুষকে এই বলে আশ্বস্ত করছেন যে, ভয় পাওয়ার কিছু নেই, এটি প্রাণীর মাংস। যারা বেশি টাকা খরচ করে তারা উন্নতমানের স্যুপ পায়।

২০০৪ সালের নয় অক্টোবরের এক সকালে সুজহৌ এলাকার জিউকুয়ান শহরের একজন ব্যক্তি আবর্জনা পরিষ্কারের সময় বেশ কিছু ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন শিশুদের দেহ আবিষ্কার করেন। দুটি মাথা, ছয়টি পা, চারটি হাত, দুটি ধর পাওয়া গেল। তদন্তে জানা গেল, শিশুগুলোর মাত্রই ভূমিষ্ঠ হয়েছিল, এদের বয়স হয়েছিল ১ সপ্তাহ ও রান্নার পরে খাওয়ার পর হাত-পা গুলো উচ্ছিষ্ট হিসেবে ফেলে দেয়া হয় ডাস্টবিনে।

চীনের ৬২ বছর বয়সী এক ব্যক্তির স্ত্রীর বয়স মাত্র উনিশ। ঐ ব্যক্তি দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন কিন্তু স্ত্রীকে খুশি রাখতে পারছিলেন না। তিনি বলেন মানব ভ্রুণ দিয়ে তৈরি স্যুপ খাবার পরে এখন প্রতিদিন তিনি যৌণ মিলনে সক্ষম। তিনি বলেন, ‘বেবি স্যুপ(মানব ভ্রুণ দিয়ে তৈরি স্যুপকে চীনে বেবি স্যুপ বলা হয়)’তার যৌণ সক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়েছে।

চীনে এক বাটি বেবি স্যুপের দাম ২,০০০ ইউয়ান(৪০০০ ইউএস ডলার)।

একটি ফ্যাক্টরির যিনি এই মানব স্যুপের নিয়মিত গ্রাহক তিনি সিউল টাইমসকে জানালেন এটি আসলেই অনেক মজাদার ও র্কায্করী।

তবে এমন বিভৎস বিষয় আপনি বিশ্বাস নাই করতে পারেন। তাই আপনার জন্য রইল সিউল টাইমসের ওয়েবসাইটের এই লিংকটি–
সিউল টাইমস-এর লিঙ্কঃ http://theseoultimes.com/ST/?url=/ST/db/read.php?idx=7333