যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোভিত্তিক স্বল্প খরচের বিমান সংস্থা ফ্রন্টিয়ার এয়ারলাইন্সের একটি বিমান লাস ভেগাসে জরুরি অবতরণ করেছে। শুক্রবার লাস ভেগাস থেকে ফ্লোরিডাগামী ওই ফ্লাইটের ইঞ্জিন কভারের একটি অংশ খুলে গেলে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই সেটি ফিরে আসতে বাধ্য হয়। খবর চ্যানেল নিউজ এশিয়ার।
ওই ফ্লাইটে থাকা একজন যাত্রী সি জে গানারসন ক্ষতিগ্রস্ত ইঞ্জিন কভারের ছবি তুলে তার বন্ধু মার্কিন সংবাদ সংস্থা এবিসি১০-র একজন টেলিভিশন রিপোর্টার ব্রান্ডন রিটিম্যানকে পাঠায়।
টুইটারে ওই ছবি শেয়ার করে রিটিম্যান লিখেন, ‘ফাটল দেখা দেয়ার পর উড্ডয়নের সময় ইঞ্জিন কভার খুলে গেলে’ ১৭৭ জন আরোহী নিয়ে ফ্লাইটটি লাস ভেগাসে জরুরি অবতরণ করে।
ওই ছবিতে দেখা যায় এয়ারবাস এ৩২০-র বডি থেকে একটি সবুজ ধাতুর ফ্লাপ বা ঝাপটা কিছুটা আলাদা হয়ে গেছে, ফলে ইঞ্জিন স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদ সংস্থা ডব্লিউটিএসপিকে গানারসন বলেন, ‘ এটা প্লেনে একটি গণ্ডগোলের মতো ছিল’ এবং যাত্রীরা লাফিয়ে চিৎকার করছিল, বিমানের ওপরের দিকে চপটাঘাত করছিল।
আরেকজন যাত্রী স্টেলা পোন্স বলেন, তিনি তার মেয়েকে ক্ষুদে বার্তা করে জানান যে তিনি তাকে ভালোবাসেন।
পোন্স বলেন, আমি ঘুমিয়ে ছিলাম এবং ‘অনেক চিৎকার ও চেঁচামেচিতে’ জেগে উঠি। তিনি বলেন, মানুষজন বিমান থামানোর জন্য পাইলটকে বলছিল এবং দুজন নারী কাঁদছিল আর অন্যান্য যাত্রীরা জানালার দিকে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছিল।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটঅ্যাওয়ার জানিয়েছে, ফ্রন্টিয়ার ফ্লাইট ২৬০ স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ১২ মিনিটে টাম্পার উদ্দেশে যাত্রা করে এবং ১৫ মিনিট পর অর্থাৎ ৭টা ২৭ মিনিটে লাস ভেগাসের ম্যাককারেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে আসে।
মার্কিন গণমাধ্যম ইউএসএ টুডে বিমান সংস্থাটির মুখপাত্রের বরাত দিয়ে জানায়, কাউলিং হিসেবে পরিচিত ইঞ্জিন কভারের একটি অংশ আলগা হয় এবং বিমান তেকে আলাদা হয়ে যায়।
ওই মুখপাত্র আরও বলেন, সব যাত্রীর টাকা ফেরত এবং ভবিষ্যৎ ফ্রন্টিয়ার ফ্লাইটের জন্য ৫০০ ডলারের ভাউচার দেয়া হয়েছে। এছাড়া তারা যাতে দ্রুত ফ্লোরিডা যেতে পারেন তাই যাত্রীদের জন্য অন্য সংস্থার বিমানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে ১৭১ জন যাত্রী ও ছয় ক্রুর সবাই নিরাপদ আছে বলে জানা গেছে।
সৌজন্যে- আরটিভি অনলাইন