pabna-newsপাবনার সাঁথিয়ায় টয়লেট থেকে তিন বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই হত্যায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ শিশুটির আপন চাচীকে আটক করেছে । হত্যার শিকার হওয়া শিশুটির নাম রবিউল ইসলাম। সে সাঁথিয়া উপজেলার করমজা মল্লিকপাড়া গ্রামের শামিম ফকিরের ছেলে। আটক চাচী কনা খাতুন (৩২) একই গ্রামের শাহীন হোসেনের স্ত্রী। রবিউলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন কনা খাতুন।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে রবিউল ইসলাম নিখোঁজ হয়। পরিবারেরর লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজির পর বিকেলে শামিমের ভাই শাহিনের টয়লেটে শিশুটির মরদেহ দেখতে পায়। স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

chardike-ad

ওসি জাহাঙ্গীর আরো জানান, মঙ্গলবার সকালে শিশুটি ঘুম থেকে ওঠার আগেই তার বাবা মরিচ তোলার জন্য মাঠে চলে যান। মাঠ থেকে ফিরে তিনি ছেলেকে ঘরে না দেখে শিশুটির মাকে জিজ্ঞাসা করেন। তারা বাড়ি ও বাড়ির আশেপাশে ব্যাপক খোঁজাখুজি শুরু করেন।কোথাও খুঁজে না পেয়ে দুপুরে এলাকায় মাইকিং করা হয়। এরপর থানায় নিখোঁজের বিষয়টি জানান শিশুটির বাবা।

এক পর্যায়ে পরিবারের লোকজন শিশুটির চাচি কনা খাতুনের সাথে তাদের পারিবারিক শত্রুতা থাকায় তাকে সন্দেহ করেন। কনার বাড়িতে খোঁজ চালাতে থাকে পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশিরা। এ সময় কনার বাথরুমের দরজা খুলতেই গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় রবিউলের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।ওসি আরও জানান, খবর পেয়ে পুলিশ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ সময় অভিযুক্ত চাচি কনাকে আটক করা হয়।

পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কনা খাতুন শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে ওসি জানান। পারিবারিক কলহের কারণে তিনি শিশুটিকে গলা টিপে ও ফাঁস দিয়ে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন।শিশুটির বাবা শামিম ফকির মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাঁথিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান ওসি।