সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। তালিকায় ১৫৬ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৫তম। গত বছরের চেয়ে বাংলাদেশ আরো ১০ ধাপ পিছিয়েছে। বরাবরের মতো এ বছরও তালিকায় ভালো অবস্থানে রয়েছে ইউরোপের দেশগুলো। আর নিচের দিকে রয়েছে আফ্রিকার দেশগুলো। তালিকায় সবার ওপরে ফিনল্যান্ড ও নিচে সাউথ সুদানের অবস্থান। ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্ক’
১৮৬০ সালে ফিনল্যান্ডে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়; এতে দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯ শতাংশ মানুষ মারা যায়। সেই থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেছে। গত মার্চের শুরুর দিকে জাতিসংঘের সাসটেইনেবল সল্যুউশন নেটওয়ার্ক বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবে ফিনল্যান্ডের নাম ঘোষণা করেছে। নর্ডিক অঞ্চলের প্রতিবেশি তিন দেশ নরওয়ে, ডেনমার্ক এবং আইসল্যান্ড যথাক্রমে ফিনল্যান্ডের
পৃথিবীর আর পাঁচটা দেশের থেকে এদেশ আলাদা নয়। এখানেও রাত পোহালে দিন আসে। পাহাড়, নদী; সবই রয়েছে। কর্মসংস্থানেরও অভাব নেই। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে থাকেন প্রচুর মানুষ। তাদেরও হাজারো সমস্যা। কিন্তু সেই সমস্যা তারা কাটিয়ে ওঠেন। সবসময় খুশি থাকেন। আর সেই কারণেই জাতিসংঘের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ওই দেশগুলোর নাম।
ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট-২০১৮-তে বিশ্বের সুখী দেশের যে তালিকা করেছে তাতে পাঁচ ধাপ অবনতি হয়েছে বাংলাদেশের। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ ছিল ১১০তম। কিন্তু এবার ৫ ধাপ অবনতি হয়ে এই সূচকের ১১৫তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) বুধবার এই রিপোর্ট প্রকাশ করে। এবার এই তালিকায় স্থান পেয়েছে ১৫৬টি দেশ।
ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস ইনডেক্স -২০১৬ এ বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হিসাবে নির্বাচিত হয়েছে ডেনমার্ক, আর সবচেয়ে অসুখী দেশ বুরুন্ডি। এই তালিকায় ১১০ নাম্বারে রয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, মিশর, এসব দেশ রয়েছে বাংলাদেশের পরে। দক্ষিণ কোরিয়া গত বছরের ৪৭ তম অবস্থান থেকে ১১ ধাপ পিছিয়ে ৫৮তম সুখী দেশ হিসেবে