Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ব্রাজিলের কারাগারে দাঙ্গায় নিহত ৫৬

base_1483459512-brazil-prison-afp

ব্রাজিলের একটি কারাগারে মাদক দলের সৃষ্ট রক্তক্ষয়ী দাঙ্গায় অন্তত ৫৬ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির জনাকীর্ণ কারাগার ব্যবস্থায় গত দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতা। ব্রাজিল কর্তৃপক্ষ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। খবর রয়টার্স।

chardike-ad

ব্রাজিলের আমাজনাস রাজ্যের নিরাপত্তা প্রধান সার্জিও ফন্তেস সাংবাদিকদের জানান, রোববার ১ জানুয়ারি রাজ্যের মানাউস শহরের আনিসিও জবিম কারাগারের ভেতর দাঙ্গার সূত্রপাত ঘটে এবং থেমে থেমে তা সোমবার পর্যন্ত চলে। দেশের দুটি প্রভাবশালী মাদক চোরাকারবারি দলের মধ্যে প্রভাব বিস্তারের লড়াই কেন্দ্র করে এ দাঙ্গার সূত্রপাত ঘটে। ভয়াবহ এ দাঙ্গায় বেশ কিছু ছিন্নভিন্ন মরদেহ কারাগারের দেয়ালের ওপর দিয়ে ছুড়ে ফেলার মতো ঘটনা ঘটেছে বলে জানান ফন্তেস। ছুড়ে ফেলা মরদেহগুলো অধিকাংশই সাউ পাউলো-ভিত্তিক মাদক দল ফার্স্ট ক্যাপিটাল কমান্ডের (পিসিসি) সদস্যদের বলে জানিয়েছেন তিনি। এ ঘটনাকে তিনি দেশটির নীরব ও নিষ্ঠুর মাদক যুদ্ধের আরো একটি অধ্যায় বলে উল্লেখ করেছেন। পিসিসি এবং নর্থ ফ্যামিলি নামে পরিচিত স্থানীয় একটি মাদকচক্রের বন্দি সদস্যদের মধ্যে এ দাঙ্গার সূত্রপাত ঘটে।

দাঙ্গার ভয়াবহতা তদারকে সোমবার মানাউস পৌঁছেন বিচারমন্ত্রী আলেকসান্দ্রে দে মোরেস। সেখানে তিনি আমাজোনাসের গভর্নর হোসে মেলো অলিভেরা এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন।

আমাজোনাস রাজ্য কারাগার সচিব পেদ্রো ফ্লোরেন্সিও বলেন, অপরাধী দলগুলো পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ হত্যাযজ্ঞ চালায়। কারাচত্বরে দাঙ্গা শুরু হলে এ সুযোগে বহু বন্দি পালাতে শুরু করে। মোট ১৮৪ বন্দি পালাতে সক্ষম হয়। তবে সোমবার দুপুরে ৪০ জনকে পুনরায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত ৫৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। দাঙ্গা চলাকালে বন্দিদের সঙ্গে পুলিশের গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় তারা ১২ জন কারারক্ষীকে জিম্মি করে। পরবর্তী তাদের মুক্তি দেয়ার কথা জানানো হয়েছে।

ব্রাজিলের কারাগারগুলোয় ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি বন্দি থাকায় মাঝে মধ্যেই সমস্যার সৃষ্টি হয়। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ পরিস্থিতিকে মধ্যযুগীয় অবস্থা বলে উল্লেখ করেছে। প্রায়ই কারাগারগুলোয় পর্যাপ্ত খাবারের অভাব দেখা যায়। কক্ষগুলোয় এত বেশি মানুষকে গাদাগাদি করে থাকতে হয় যে, বন্দিরা শোয়ার জায়গাটুকু পায় না। এছাড়া বিভিন্ন দলের মধ্যে প্রভাব বিস্তার নিয়ে কারাগারের ভেতরেই দাঙ্গার ঘটনা ঘটে। আনিসিও জবিম কারাগারের ধারণক্ষমতা ৫৯০ জন হলেও সেখানে বর্তমানে ২ হাজার ২৩০ জন বন্দি রয়েছে।