সিরিয়ার বিমানঘাঁটিতে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ক্ষমার অযোগ্য আগ্রাসন বলে আখ্যায়িত করেছে উত্তর কোরিয়া। শনিবার উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ-র বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।
কেসিএনএ উত্তর কোরীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র সিরিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা স্পষ্ট ও ক্ষমার অযোগ্য আগ্রাসনের একটি পদক্ষেপ। আমরা এর নিন্দা জানাই।
কেসিএনএ আরও লিখেছে, আজকের এই বাস্তবতা প্রমাণ করে আমাদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সঠিক।
কেসিএনএ জানিয়েছে, এ হামলার পর উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন এবং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ কথা বলেছেন। দুই নেতা উভয় দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। হামলার পর পাশে থাকার জন্য কিমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আসাদ।
উল্লেখ্য, সিরিয়ার সরকারি বাহিনী বিদ্রোহীদের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র হামলা চালিয়েছে- এমন অভিযোগে শুক্রবার একটি সিরীয় বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। ওই দিন ভোরে দুই মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস পোর্টার এবং ইউএসএস রস থেকে আসাদ সরকার নিয়ন্ত্রিত ওই বিমানঘাঁটিতে ৫৯টি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। সিরীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসহ অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
মার্কিন হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলছে রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্টের দফতর ক্রেমলিন-এর মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ হামলা একটি সার্বভৌম দেশের ওপর আগ্রাসন। এটা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। যুক্তরাষ্ট্র সিরীয় সন্ত্রাসীদের মদদ দিচ্ছে বলে শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছে মস্কো। রুশ প্রতিক্রিয়ার জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিলারসন বলেন, মস্কোর অবস্থানে ‘যুক্তরাষ্ট্র হতাশ, তবে বিস্মিত নয়’। হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন করেছে যুক্তরাজ্য। সূত্র: রয়টার্স।