Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

৫০ নম্বরের পরীক্ষায় ৬৩ পেলো এক শিক্ষার্থী!

resultসদ্য প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষায় উচ্চতর গণিত বিষয়ের ২য় পত্রের রচনামূলক (সৃজনশীল) ৫০ নম্বরের মধ্যে ৬৩ নম্বর পেয়েছে সাতক্ষীরার এক শিক্ষার্থী। এমন ঘটনায় হতবাক কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, সাতক্ষীরা কলারোয়া সরকারি কলেজের ছাত্র সুদিপ্ত কুমার সরদার ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০১৭ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অংশ নেয়। তার বাবার নাম পূর্ণ চন্দ্র সরদার, মায়ের নাম প্রমীলা রাণী সরদার। রোল নং- ৪০৮৬৩৯, রেজি নং- ১২১৩৬৭৪০৭০।

chardike-ad

গত ২৩ জুলাই বোর্ডের প্রকাশিত ফলাফলে ওই শিক্ষার্থী উচ্চতর গণিত বিষয়ের ২য় পত্রের রচনামূলক (সৃজনশীল) অংশে ৬৩ নম্বর পেয়েছে। অথচ ওই অংশের মোট নম্বর ৫০। অর্থাৎ ৫০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন ৬৩ নম্বর। সেখানে নৈর্ব্যক্তিক অংশে ২৫ নম্বরের মধ্যে সে পেয়েছে ৮ নম্বর ও ২৫ নম্বরের ব্যবহারিক অংশে পেয়েছে ২৪ নম্বর। সেখানে ২য় পত্রের ওই ৬৩ নম্বরসহ উচ্চতর গণিতে ১ম ও ২য় পত্র মিলিয়ে সে মোট পেয়েছে ১৬৪ নম্বর আর উচ্চতর গণিতে গ্রেড এ+। এতে করে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ৪.১৭ গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন সুদিপ্ত।

এদিকে যশোর শিক্ষাবোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলেও একই চিত্র দেখা গেছে সেখানে ৫০ নম্বরের মধ্যে সে পেয়েছে ৬৩ নম্বর।

এ বিষয়ে কলারোয়া সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক শাহনেওয়াজ করিম জানান, উচ্চতর গণিতের ২য় পত্রের মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে রচনামূলক অংশে ৫০ নম্বর, নৈর্ব্যক্তিক অংশে ২৫ ও ব্যবহারিক অংশে ২৫ নম্বর। সেখানে রচনামূলক অংশে ৬৩ নম্বর প্রাপ্তের বিষয়টি বোর্ডের ভুল হয়ে থাকতে পারে।

সাতক্ষীরা কলারোয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বাসুদেব বসু বলেন, ‘বিষয়টি বোর্ডের এখতিয়ার। এ বিষয়ে তার কোনও বক্তব্য নেই।’

এদিকে, ৫০ নম্বরের মধ্যে ৬৩ নম্বর প্রাপ্তিকে বোর্ড কিংবা সংশ্লিষ্ট পরীক্ষকের ভুল বলে মনে করছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অনেকে। তাদের ধারণা হয়তোবা ৩৬ উল্টে গিয়ে ৬৩ হয়ে থাকতে পারে। তবে ওই বিষয়ে মোট যোগফল করা হয়েছে প্রাপ্ত ৬৩ নম্বর দিয়েই।