
ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, আলোচনা “অত্যন্ত ফলপ্রসূ” হলেও এখনো বেশ কিছু বিষয় অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজ শহরের এলমেনডর্ফ–রিচার্ডসন সামরিক ঘাঁটিতে এই বৈঠক হয়। পরে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “আমাদের সামনে অগ্রগতির জন্য খুব ভালো সুযোগ রয়েছে। তবে চূড়ান্ত চুক্তি তখনই হবে, যখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ন্যাটো মিত্ররা সম্মত হবেন।”
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধকে “ট্রাজেডি” আখ্যা দিয়ে বলেন, যুদ্ধ থামাতে হলে “মূল কারণগুলো” সমাধান করতে হবে। তবে তিনি সেসব কারণ নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করেননি। পুতিন আরও বলেন, “আমার আশা ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয়রা শান্তিপ্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার পথ বেছে নেবেন না।”
রুশ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশংসা করে বলেন, “ট্রাম্প তাঁর দেশের সমৃদ্ধি নিয়ে আন্তরিকভাবে মনোযোগী। তবে তিনি এটাও বুঝেছেন, রাশিয়ারও নিজস্ব স্বার্থ আছে।”

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় সামরিক অভিযান শুরু করে। তারপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে বিপুল পরিমাণ আধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে। একইসঙ্গে রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মস্কোকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একঘরে করার চেষ্টা চালায় ওয়াশিংটন। এতে দুই দেশের সম্পর্ক স্নায়ুযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছায়।
পুতিন বলেন, “গত কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার শীর্ষ পর্যায়ে কোনো বৈঠক হয়নি। এ বৈঠক আরও আগে হওয়া উচিত ছিল।” তিনি জানান, এ সময়ের মধ্যে ট্রাম্পের সঙ্গে বেশ কয়েকবার “খোলামেলা ফোনালাপ” হয়েছে এবং ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ আলোচনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
ট্রাম্প বারবার দাবি করে এসেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট থাকলে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুই হতো না। এবার সেই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হয়েছেন পুতিনও।
যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সংলাপের পথে ফেরার সময় এসেছে উল্লেখ করে পুতিন বলেন, “আমরা উভয়েই ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছি। শান্তিপ্রক্রিয়া শুরু করতে হলে রাজনৈতিক সদিচ্ছা অপরিহার্য।”
সূত্র: এএফপি, রয়টার্স






































