বুধবার । ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক জাতীয় ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩:৩৫ অপরাহ্ন
শেয়ার

ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যার ‘মাস্টারমাইন্ড’ জয়: তাজুল ইসলাম


'জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে কোনো জেনোসাইড হয়নি, মাস কিলিং হয়েছে'

ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় জুলাই আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করেছেন।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ইন্টারনেট বন্ধ করে হত্যাযজ্ঞে সহায়তা এবং মরদেহ ও আলামত গুমের মামলায় শুনানি শেষে তিনি এ কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, জয়ের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব থাকুক বা না থাকুক, তিনি রাষ্ট্রের বেতনভুক্ত ছিলেন, উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। জয়ের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনেই হবে। তার বিরুদ্ধে অকাট্য প্রমাণ আছে।

এদিকে, আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আগে বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ চেয়ে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমান।

যুক্তরাজ্য থেকে দুজন আইনজীবী আনতে বুধবার ট্রাইব্যুনালে পৃথক দুটি আবেদন করেন তারা।

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল বলেন, ‘বিদেশি আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ রয়েছে, তবে সেটি আইনি শর্তসাপেক্ষে।’

এদিকে আরেক মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়কে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

তাজুল ইসলাম জানান, বুধবার জুলাই হত্যাযজ্ঞের মামলায় হাজির করা হয় আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানকে। তাদের পক্ষ থেকে যুক্তরাজ্য থেকে দুজন আইনজীবী আনার আবেদন করা হয়। এ মামলার অভিযোগ গঠনে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ১৭ ডিসেম্বর।

এদিন ইন্টারনেট বন্ধ করে হত্যাযজ্ঞে সহায়তা এবং মরদেহ ও আলামত গুমের মামলায় হাজির করা হয় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে। আর উপস্থিত না থাকায় হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে হাজির করতে পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

এদিকে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছে আরও দুজন। এ নিয়ে মামলায় সাক্ষী দিলেন ২৪ জন।