
কার্তিক শর্মা ও প্রশান্ত বীর
আইপিএল নিলামে আবারও প্রমাণ হলো, এই মঞ্চ এক লহমায় বদলে দিতে পারে একজন ক্রিকেটারের ভাগ্য। আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ আইপিএল নিলামে আনক্যাপড দুই তরুণ- প্রশান্ত বীর ও কার্তিক শর্মা -দুজনই বিক্রি হয়েছেন ১৪ কোটি ২০ লাখ রুপিতে। ভিত্তিমূল্য ছিল মাত্র ৩০ লাখ রুপি, সেখান থেকে এমন আকাশচুম্বী দামে বিক্রি হওয়ায় নিলামে তৈরি হয় ব্যাপক চমক।
এই দুজনই আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া আনক্যাপড খেলোয়াড়। তাদের দুজনকেই দলে নিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। সাধারণত হিসেব-নিকেশ করেই খেলোয়াড় কেনে চেন্নাই, ফলে প্রশ্ন উঠছে- কী দেখেই না এই দুই তরুণের পেছনে এত বড় অঙ্ক খরচ করল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি?
২০ বছর বয়সী প্রশান্ত বীর একজন বাঁহাতি স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার। এখন পর্যন্ত প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলেছেন মাত্র দুটি ম্যাচ, আর টি-টোয়েন্টি খেলেছেন নয়টি। এই ফরম্যাটে তাঁর উইকেট ১২টি, ব্যাট হাতে রান ১১২। পরিসংখ্যান খুব চোখ ধাঁধানো না হলেও সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সেই চেন্নাইয়ের নজর কাড়েন তিনি। চলতি বছর উত্তর প্রদেশ টি-টোয়েন্টি লিগে ১০ ম্যাচে ৩১০ রান করার পাশাপাশি নেন ৮ উইকেট। সেখানে তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫৫-এর বেশি। এরপর সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতেও ৫ ইনিংসে ১৬৯-এর বেশি স্ট্রাইক রেটে করেন ১১২ রান। মনে করা হচ্ছে, বাঁহাতি স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে তিনি চেন্নাইয়ের সাবেক তারকা রবীন্দ্র জাদেজার বিকল্প হতে পারেন।
অন্যদিকে ১৯ বছর বয়সী কার্তিক শর্মা একজন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। ডানহাতি এই মিডল অর্ডার ব্যাটার ছক্কা মারায় বেশ দক্ষ। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৮ ম্যাচে করেছেন ৩টি সেঞ্চুরি, লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৯ ম্যাচে রয়েছে ২টি সেঞ্চুরি। টি–টোয়েন্টিতে ১২ ম্যাচে তাঁর দুটি ফিফটি, ১১ ইনিংসে মেরেছেন ২৮টি ছক্কা, স্ট্রাইক রেট ১৬২.৯২।
কার্তিক রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেক ম্যাচেই সেঞ্চুরি করে আলোচনায় আসেন। গত মৌসুমে রাজস্থানের হয়ে বিজয় হাজারে ট্রফিতে ৮ ইনিংসে করেন ৪৪৫ রান, যা ছিল দলের সর্বোচ্চ। এ ছাড়া ২০২৪ সালে শেরে পাঞ্জাব টি–টোয়েন্টি লিগে ১০ ম্যাচে ১৬৮ স্ট্রাইক রেটে করেন ৪৫৭ রান।
সব মিলিয়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে আগ্রাসী ব্যাটিং ও বড় ইনিংস খেলার সক্ষমতাই প্রশান্ত ও কার্তিককে আইপিএল নিলামের সবচেয়ে বড় চমক বানিয়েছে। চেন্নাই সুপার কিংস যে ভবিষ্যতের তারকা হিসেবেই এই দুই তরুণের ওপর বড় বাজি ধরেছে, তা বলাই যায়।










































