Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

করোনা স্ক্রিনিংয়ে বিমানের উদাসীনতা

biman-coronaকরোনাভাইরাস শনাক্তে রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স থেকে কাঙ্ক্ষিত সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে ভ্রমণকারী যাত্রীদের জন্য হেলথ ডিক্লারেশন ফরম পূরণের জন্য দেয়া হলেও তা পূরণ করে জমা দেয়ার ব্যাপারে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স উদাসীনতা দেখাচ্ছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিমানে আগত যাত্রীদের মধ্যে ২৫ শতাংশের কাছ থেকে পূরণ করা হেলথ ডিক্লারেশন ফরম পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে তারা অনেক আগে থেকেই ফরম সরবরাহ করেছেন।

chardike-ad

biman-coronaবাংলাদেশ বিমানসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে আগত যাত্রীদের সংশ্লিষ্ট কেবিন ক্রুদের মাধ্যমে ফরম বিতরণ এবং তা পূরণ শেষে স্বাস্থ্য অধিদফতরে জমা দেয়ার কথা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বিমানসহ একাধিক এয়ারলাইন্স গাফিলতি করছে। বিশেষ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ালাইন্সের ২৫ শতাংশ যাত্রীর কাছ থেকে হেলথ ডিক্লারেশন ফরম পাওয়া যাচ্ছে না।

জানতে চাইলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শাহরিয়ার সাজ্জাদ এ তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বারবার বলার পরও বিমানের সব যাত্রীর কাছ থেকে পূরণ করা হেলথ ডিক্লারেশন ফরম পাওয়া যাচ্ছে না। এ তালিকায় একাধিক এজেন্সি রয়েছে বলেও তিনি জানান।

biman-coronaবিশ্বের ৫৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদফতর গত ২১ জানুয়ারি থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের মোট তিনটি বিমানবন্দরে আগত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু করে। গতকাল শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত তিনটি বিমানবন্দরে সর্বমোট এক লাখ ৯৪ হাজার ৬৭০ জন যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় নয় হাজার ১০০ জন যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।

biman-coronaকরোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে সমুদ্রবন্দর, স্থলবন্দর ও রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। শনিবার পর্যন্ত মোট তিন লাখ ৮৩ হাজার ৯৫৮ যাত্রীর স্ক্রিনিং করা হয়। আকাশপথে এক লাখ ৯৪ হাজার ৬৭০ জন, সমুদ্রপথে (চট্টগ্রাম ও খুলনা) চার হাজার ৩৩২ জন, রেলস্টেশনে তিন হাজার ৯৫৫ জন এবং বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে আগত এক লাখ ৯৫ হাজার ২৯৩ জনের স্ক্রিনিং করানো হয়।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) ল্যাবরেটরিতে করোনা সন্দেহে ৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু একজনের দেহেও করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মেলেনি।