Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
আগুনে পুড়ছে বহুতল ভবন
আগুনে পুড়ছে বহুতল ভবন

রাজধানী ঢাকায় গত ৯ বছরে একাধিকবার বিভিন্ন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পুরান ঢাকার নিমতলী, চুড়িহাট্টার সেই হৃদয়বিদারক ঘটনা আজও ভুলতে পারেননি অনেকেই। সেই ঘটনার সাথেই যোগ হলো আরও একটি বেদনাবিধুর অধ্যায়। বলছি রাজধানীর বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কথা।

গতকাল(২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে বেইলি রোডের “গ্রিন কটেজ ভ্যালি” নামের ওই ভবনের নিচতলায় একটি দোকানে আগুন লাগে। পরে সেখানে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারের সংস্পর্শে এসে আগুনের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট প্রথমে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করলেও আগুনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় আরো কয়েকটি ইউনিট এসে যোগ দেয়। সে সময় ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে যান রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া পথচারীদের অনেকেই। তখন ভবন থেকে “বাঁচাও, বাঁচাও” চিৎকার ভেসে আসছিলো। রাত ১১টা ৫০ নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ততক্ষণে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন ২২ জন। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

chardike-ad

সেখানে অবস্থানরত এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “প্রথমে ভবনের নিচতলায় একটি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে সেখানে থাকা সিলিন্ডারের কারণে আগুন দ্রুত অন্যান্য তলায় ছড়িয়ে পড়ে।”  আগুন থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই ভবনের সপ্তম তলায় ও ছাদে আশ্রয় নেন। পরে ফায়ার সার্ভিস তাঁদেরকে ক্রেনের সাহায্যে উদ্ধার করে। এছাড়াও সেই সময় আরো ৪২ জনকে অবচেতন অবস্থায় এবং ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করেন তাঁরা। নিহতদের মধ্যে অনলাইন সংবাদ মাধ্যম দ্য রিপোর্ট লাইভের সাবেক সংবাদকর্মী অভিশ্রুতি শাস্ত্রী, তুষার হাওলাদার, বুয়েটের দুই শিক্ষার্থী, ইতালি প্রবাসী একই পরিবারের পাঁচজন, কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁর ক্যাশিয়ার, বাবুর্চি সহ অনেকেই রয়েছেন।

অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন জানান, “রেস্তোরাঁগুলোতে গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় আগুনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “ভবনটিতে একটি মাত্র বহির্গমনের জায়গা ছিলো এবং কোনো আপদকালীন বহির্গমনের জায়গা(Fire EXIT) ছিলো না। এছাড়াও পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের জায়গারও অভাব ছিলো।”

উল্লেখ্য, সাততলা ভবনটিতে স্যামসাং ও গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার কোম্পানির আউটলেটের পাশাপাশি পোশাক ব্র্যান্ড ইল্লিয়্যীন, কাচ্চি ভাই, খানাস সহ একাধিক রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকান ছিল‌।