Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সাভারে তেলের ট্যাঙ্কারে আগুনের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪

সাভারে আগুনে পুড়ে যাওয়া তেলের ট্যাঙ্কার। সূত্র: প্রথম আলো

 

 

chardike-ad

 

 

সাভারে তেলের ট্যাঙ্কার উল্টে আগুনের ঘটনায় সাকিব (১৪) নামে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ জনে।

গতকাল বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের একটি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মোঃ তরিকুল ইসলাম।

তিনি জানান, সাকিবের শরীরের শতভাগই পুড়ে গিয়েছিলো। এখন পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অন্যান্য রোগীদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকিদের অবস্থা গুরুতর।

নিহত সাকিবের বড় ভাই মোঃ নাইম জানান, তাঁদের গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলার সদর উপজেলায়। তাঁর পিতার নাম আবেদ আলী। সাকিব ছিলেন পেশায় একজন ট্রাক হেলপার। আগুনে পুড়ে যাওয়া তরমুজবাহী ট্রাকে ছিলেন তিনি।

এর আগে গত মঙ্গলবার সাভারের হেমায়েতপুরের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জোড়পুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সেই সময় ঘটনাস্থলেই নিহত হন ইকবাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি।

এ ঘটনায় দগ্ধ বাকিদের দ্রুত বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। ওইদিনই জরুরি বিভাগে নজরুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ফল ব্যবসায়ীকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে রাত ১০টার দিকে হাসপাতালের এইচডিইউতে (হাই ডিপেন্ডেসি ইউনিট) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় হেলাল উদ্দিন নামের আরো এক ব্যক্তির।

দগ্ধদের মধ্যে অন্যরা হলেন প্রাইভেট কার চালক আব্দুস সালাম (৩৫), প্রিমিয়ার সিমেন্ট বহনকারী গাড়ির চালক আল আমিন (২৮) ও গাড়িটির লেবার মিলন মোল্লা (২০), ফল ব্যবসায়ী আল আমিন (৩০), তাঁর মেয়ে স্কুলছাত্রী মিম (১০) ও ফল ব্যবসায়ী নিরঞ্জন (৪৫)।

 

হাসপাতালে ভর্তি দগ্ধ প্রাইভেটকার চালক আব্দুস সালাম জানান, তিনি হেমায়েতপুরে সিএনজি পাম্প থেকে গ্যাস নিয়ে ঢাকার দিকে ফিরছিলেন। তবে হেমায়েতপুর জোড়পুল এলাকায় একটি তেলের ট্যাংকার দুর্ঘটনায় রাস্তার ওপর উল্টে ছিল। সেটির কারণে পাশ দিয়ে অন্য সব গাড়ি ধীর গতিতে পার হচ্ছিল। আর রাস্তায় ওই ট্যাংকার থেকে তেল গড়িয়ে পড়ছিল। তখন হঠাৎ সেখানে আগুন ধরে ওঠে। এতে ট্যাংকারের আশপাশে থাকা অনেকগুলো গাড়িতে আগুন ধরে যায়।

 

তিনি আরো জানান, তাঁর প্রাইভেট কারে কোনো যাত্রী ছিল না। যখন প্রাইভেট কারটিতে আগুন ধরে যায়, তখন তিনি দৌড়ে গাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তবে এর আগেই তিনি মাথার একপাশে ও পায়ে দগ্ধ হন।