কু‌ড়িগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের সিসি ক্যামেরা স্থাপন, বিজিবির আপ‌ত্তি

 

chardike-ad

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দক্ষিণ বাঁশজানী সীমান্তে শূন্যরেখায় অবস্থিত এক‌টি মস‌জি‌দের পা‌শে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বা‌হিনী-বিএসএফ ক্লোজড সা‌র্কিট (সিসি) ক‌্যা‌মেরা স্থাপন ক‌রে‌ছে। এ নিয়ে পতাকা বৈঠ‌কের মাধ‌্যমে কড়া আপ‌ত্তি জানিয়েছে বিজিবি।

সোমবার কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবির পরিচালক লেফ‌টেন‌্যান্ট ক‌র্নেল মাসুদুর রহমান এ তথ‌্য নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন।

বি‌জি‌বি ও স্থানীয় সূ‌ত্রে জানা গে‌ছে, ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঁশজানী সীমান্তের আন্তর্জা‌তিক সীমানা পিলার ৯ এসের ৯৭৮ নম্বর পিলারের পাশে শূন্যরেখার একটি ইউক‌্যা‌লিপটাস গাছে রবিবার রাতে বাংলাদেশের দিকে তাক করে একটি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেন ভার‌তের ছোট গাড়ল ঝড়া ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা। সোমবার সকালে স্থানীয়রা বিষয়টি বিজিবিকে জানায়। প‌রে বিজিবি এ নি‌য়ে বিএসএফের সঙ্গে যোগা‌যোগ ক‌রে। র‌বিবার উভয় সীমান্তরক্ষী বা‌হিনীর কোম্পা‌নি কমান্ডার পর্যা‌য়ে পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠ‌কে সিসি ক্যামেরা স্থাপ‌নে আপ‌ত্তি জা‌নি‌য়ে তা অপসারণ করার দাবি জানায় বি‌জি‌বি। তবে বিকাল পর্যন্ত ক্যামেরা খুলে নিয়ে যায়নি বিএসএফ।

স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ বাঁশজানি ঝাকুয়াটারী সীমান্তে শত বছরের পুর‌নো ও আলোচিত দক্ষিণ বাঁশজানি ঝাকুয়াটারী জামে মসজিদ পুনর্নির্মাণ কাজ চলছে। মস‌জিদ‌টি সীমা‌ন্তের শূন‌্যরেখায়। এই মসজিদে উভয় দে‌শের নাগ‌রিক নামাজ আদায় ক‌রেন। কিন্তু মস‌জিদ‌টির পাকা স্থাপনা নির্মা‌ণে আপ‌ত্তি জানায় বিএসএফ। দুই বছর ধ‌রে সেই নির্মাণকাজ বন্ধ থাক‌লেও র‌বিবার রাতের আঁধারে মসজিদের সন্নিকটে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে। এতে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

দক্ষিণ বাঁশজানি ঝাকুয়াটারী জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন আলমগীর হোসেন জানান, বিএসএফের বাধায় দুই বছর থেকে মসজিদের কাজ বন্ধ রয়েছে। তারপরও তারা রাতের আঁধারে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে গেছে। এতে আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। বিজিবি ক্যামেরা খুলে নিয়ে যেতে বললেও তা করেনি বিএসএফ।

কু‌ড়িগ্রাম বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাসুদুর রহমান ব‌লেন, ‘সিসি ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়ে বিএসএফ’কে আপ‌ত্তি জানানো হয়েছে। এ নিয়ে সোমবার কোম্পা‌নি কমান্ডার পর্যা‌য়ে পতাকা বৈঠক হ‌য়ে‌ছে। মঙ্গলবার ব‌্যাটা‌লিয়ন কমান্ডার পর্যা‌য়ে বৈঠক হ‌বে। বিষয়‌টি সমাধা‌নের চেষ্টা চল‌ছে।’