রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি ইউনিটের সমন্বয়ে সমন্বিত ফোর্স গঠন করে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে চেকপোস্টের সংখ্যা বাড়ানো, অপরাধপ্রবণ এলাকায় টহল বাড়ানো এবং টার্গেট এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
গতকাল সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বৈঠকে কোর কমিটি রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার এবং অপরাধ মোকাবিলায় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সড়কে নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অতিরিক্ত নৌ টহল মোতায়েন থাকবে এবং ঢাকার নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় সম্পূরক কোস্টগার্ড টহল মোতায়েন থাকবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার, সেনাবাহিনীর ব্রিগেড কমান্ডার এবং অন্যান্য দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা সময়মতো আপডেট নিশ্চিত করতে প্রতিটি ঘটনা সম্পর্কে নিয়মিত গণমাধ্যমকে ব্রিফ করবেন।
এছাড়া, অলি-গলিতে দ্রুত টহলের সুবিধার্থে ডিএমপি, বিজিবি, আনসার ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পুলিশ সদস্যদের জন্য মোটরসাইকেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিটি।
সম্ভাব্য যেসব স্থানে ডাকাত ও ডাকাতরা লুকিয়ে থাকতে পারে, সেসব স্থানে সম্মিলিত অভিযান চালানো হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর বাইরের টঙ্গী, বসিলা, কেরানীগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টহল জোরদার করবে।
এছাড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) ৫০০ সদস্যকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ দেওয়া হবে।
কর্তৃপক্ষ থানার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন অপরাধীদের স্থানীয় ডাটাবেসও আপডেট করবে এবং তাদের আইনের আওতায় আনতে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।
মিথ্যা তথ্য, গুজব ও অপপ্রচার মোকাবিলায় সঠিক তথ্য প্রচারে নানামুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হবে।
সভায় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বক্স চৌধুরীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।