Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

শান্তি সূচকে পিছিয়েছে কোরিয়া, এগিয়েছে বাংলাদেশ

korea peace index২০১৪ সালের  ‘বৈশ্বিক শান্তি সূচক’-এ ১৬২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সাত ধাপ এগিয়ে হয়েছে ৯৮ আর পাঁচ ধাপ পিছিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া রয়েছে ৫২তম স্থানে। সূচকে টানা সপ্তমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ বিবেচিত হয়েছে আইসল্যান্ড। টানা চতুর্থ বছরের মতো দ্বিতীয় অবস্থানটি ধরে রেখেছে ডেনমার্ক।  এক ধাপ এগিয়ে সূচকে তিন নম্বরে উঠে এসেছে অস্ট্রিয়া। অস্ট্রেলিয়ার সিডনীভিত্তিক আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর ইকনোমিকস অ্যান্ড পিস (আইইপি) ২০০৭ সাল থেকে প্রতি বছর এই সূচক প্রণয়ন করে আসছে।

bd peace indexসূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। বাংলাদেশের আগে রয়েছে ভুটান (১৬তম) ও নেপাল (৭৬তম)। দেশদুটো যথাক্রমে ৪ ও ৬ ধাপ করে এগিয়েছে। উপমহাদেশের অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকার অবস্থান যথাক্রমে ১৪৩, ১৫৪ ও ১০৫। এদের মধ্যে শ্রীলংকা পাঁচ ধাপ ও পাকিস্তান তিন ধাপ এগিয়েছে, ভারত তিন ধাপ পিছিয়েছে।

chardike-ad

এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবার উপরে রয়েছে জাপান। তবে ২০০৮ সালের প্রথম সূচকে ৩য় অবস্থানে থাকা দেশটি বিগত সাত বছরে একটু একটু করে পিছিয়ে এখন রয়েছে অষ্টম অবস্থানে। এশীয়দের মধ্যে জাপানের পরের অবস্থানটিই ভুটানের। সাত ধাপ পিছিয়ে চীনের অবস্থান ১০৮। ১৬২ দেশের মধ্যে গত বছর সবার পেছনে থাকা আফগানিস্তানকে এক ধাপ এগিয়ে দিয়ে সময়ের সবচেয়ে ‘অশান্তি’র দেশ হিসেবে নাম লিখিয়েছে সিরিয়া। সতেরো ধাপ পিছিয়ে শেষ দিক থেকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দক্ষিণ সুদান। সূচকে উত্তর কোরিয়ার অবস্থান ১৫৩।

peace indexসমাজে বিদ্যমান সহিংসতা, হত্যা, বেসামরিক নাগরিকের হাতে অস্ত্র, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-সংঘাত, রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ ২২টি বিষয় মূল্যায়ন করে ওই সূচক নির্ণয় করা হয়। এক্ষেত্রে সামাজিক শান্তি ও নিরাপত্তা, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সংঘাত এবং সন্ত্রাসী তৎপরতাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়ে থাকে। সহিংসতা দেশগুলোর অর্থনীতির উপর কী প্রভাব ফেলেছে তাও বিবেচনায় আনা হয়।

সূচকে ১৬২টি দেশকে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে উত্তম (১-২৮), ভালো (২৯-৮২), মধ্যম (৮৩-১৩৪), খারাপ (১৩৫-১৫১) ও অধিকতর খারাপ (১৫২-১৬২) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।