
চীন সবসময় বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু, প্রতিবেশী ও অংশীদার হিসেবে থাকতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। তিনি বলেন, পানি ব্যবস্থাপনা, মেডিকেল ট্যুরিজমসহ বাংলাদেশের অগ্রাধিকার খাতে বেইজিং সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে ৩২তম আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের (এআরএফ) ফাঁকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এসব কথা বলেন ওয়াং ই।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে উভয় পক্ষই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও গভীর ও বহুমুখী করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের চলমান সংস্কার প্রচেষ্টাকে পূর্ণ সমর্থন জানান।
বৈঠকে চীনের সাম্প্রতিক বিনিয়োগ সম্মেলনের প্রসঙ্গ টেনে ওয়াং ই জানান, টেক্সটাইল, জ্বালানি ও হালকা প্রকৌশল খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী চীন। এ সময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি চীনের রাজনৈতিক ও উন্নয়ন সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। এ ইস্যুর দ্রুত ও টেকসই সমাধানে চীনের সক্রিয় সমর্থন কামনা করেন তৌহিদ হোসেন। একই সঙ্গে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এদিন বিকেলে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনিতা আনন্দের সঙ্গেও আলাদা বৈঠক করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। সেখানে বাণিজ্য বৈচিত্র্য, বিনিয়োগ সহযোগিতা ও রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখা নিয়ে আলোচনা হয়। উভয় পক্ষই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে একমত পোষণ করে।
বৈঠকগুলোতে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার শামীম আহসান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. ফরহাদুল ইসলামসহ বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ৩২তম এআরএফ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মো. তৌহিদ হোসেন। এটি শুক্রবার (১১ জুলাই) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
































