
প্রতীকী ছবি
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকেই জাঁকজমক আয়োজনে চলছিল বাল্যবিয়ের প্রস্তুতি। তবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হঠাৎ বিয়ে বাড়িতে হাজির হন গুরুদাসপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা আফরোজ, সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ইউএনও আসছেন—এমন খবর ছড়িয়ে পড়তেই নড়েচড়ে বসে কনের পরিবার। দ্রুত আসল কনেকে সরিয়ে ‘কনে’ সাজানো হয় এক বিবাহিত নারীকে। কিন্তু প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে যায় বর ও বরযাত্রীরা। কনের পরিবারের অনেকেও সটকে পড়ে।
তবে ইউএনও ফাহমিদা আফরোজ সেই সাজানো কনেকে নিয়ে যান উপজেলা কার্যালয়ে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী পুরো বিষয়টি স্বীকার করে নেন। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাল্যবিয়ের মূল আয়োজক—কনের দাদা বজলুর রশিদকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে ইউএনও ফাহমিদা আফরোজ বলেন, “বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান কঠোর। একজন শিশুর জীবন ধ্বংস হোক, তা কখনোই হতে দেওয়া যাবে না।”
প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপে একটি বাল্যবিয়ে ঠেকানো গেলেও, ঘটনার এই অভিনব রূপ স্থানীয়দের মাঝে বিস্ময় ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
































