Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বিনিয়োগের সুবিধা নিতে কোরিয়ার প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রীর আহবান

বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে সম্ভাবনাময় একটি দেশ। বাংলাদেশর অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আর তাই বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে সুবিধা নিতে কোরিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে কোরিয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কোরিয়ান ফেডারেশন অব স্মল এন্ড মিডিয়াম ইনভেস্টমেন্ট আয়োজিত ‘কোরিয়া-বাংলাদেশ জয়েন্ট বিজনেস রাউন্ড টেবিল মিটিং’ এবং কোরিয়া ট্রেড-ইভেস্টমেন্ট প্রোমোশন এজেন্সি (কোট্রা) আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ আহ্বান জানান জানান।

chardike-ad

Tofayel-ahmed20140115174648 মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। এখানে কম খরচে বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব। পরিবর্তনশীল অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশে শিল্প স্থাপন ও বিনিয়োগ করতে বিশ্বে অনেক দেশ ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করছে। এতে করে বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসা বান্ধব বিনিয়োগনীতি এবং সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে বিনিয়োগকারীরা অধিক লাভবান হতে পারেন। এক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ সফর করে সুযোগ-সুবিধা দেখে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ার বড় ধরনের বিনিয়োগ প্রত্যাশা করে। কোরিয়া ট্রেড-ইভেস্টমেন্ট প্রোমোশন এজেন্সি (কোট্রা)-এর এক্সিকিউটিভ ভাইস-চেয়ারম্যান বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানান মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের বিপুল জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হতে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, নিটওয়ার, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, সিরামিকসহ অন্যান্য পণ্য বিদেশে রফতানি করে বিশ্বে দৃষ্টি আকষর্ণ করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, বিশ্বমানের ওষুধ, স্যু, সিরামিক, পাটজাতপণ্য, হোম টেক্সটাইল, তাবু, সেনথেটিক দড়ি উৎপাদন করে বিশ্বে সুনাম অর্জন করেছে।

বাংলাদেশের পক্ষে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এনামূল কবির এবং সফররত বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান খান, বাংলাদেশের ২৯ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল, কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং অন্যান্য ব্যবসায়ী সংগঠনের কর্মকর্তাবৃন্দ এ মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেন।