Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

হাসপাতাল নির্মাণে ১ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেবে দ. কোরিয়া

hospital fund from koreaবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭শ’ শয্যাবিশিষ্ট ‘মাল্টি ডিসিপ্লিনারি অ্যান্ড সুপার স্পেশালাইজড হসপিটাল’ নির্মাণে এক হাজার কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দেবে দক্ষিণ কোরিয়া।

এ লক্ষ্যে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিল্টন হলে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে যৌথ স্মারক ঘোষণা (এমওডি) স্বাক্ষরিত হয়।

chardike-ad

এমওডিতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব এম আসিফ-উজ-জামান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোশাররফ হোসেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষে সেদেশের এক্সিম ব্যাংকের পরিচালক তা উং লি।

এমওডিতে বলা হয়, হাসপাতালটি নির্মাণের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া সরকার সহজ শর্তে ৪০ বছর মেয়াদী এক হাজার কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দেবে। আর দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষে এ অর্থ যোগান দেবে কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক।

আরও বলা হয়, এ বিশেষায়িত হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থায় বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা দেওয়া ও গবেষণা করা হবে। বর্তমানে যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বিদেশে যেতে হয়, এই হাসপাতাল নির্র্মিত হলে দেশেই সেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব হবে। আরও গতিশীল ও উন্নত হবে চিকিৎসা ও গবেষণা কার্যক্রম।

স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংকের পরিচালক তা উং লি এ প্রকল্পের উপরে জোর দিয়ে বলেন, স্বাস্থ্য খাতের এত বড় একটি প্রকল্পের অংশীদার হতে পেরে কোরিয়া গর্ববোধ করছে।

ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ যদি ভিয়েতনামে হতে পারে তবে কেন বাংলাদেশে নয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় খুব অল্প সময় নিয়েছে যেখানে এ ধরনের প্রকল্পে দুই থেকে তিন বছর সময় লেগে যায়।

এম আসিফ-উজ-জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোরিয়ান এপ্রাইজাল মিশনের প্রধান প্রতিনিধি লি ইয়ং সিয়ব, কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংকের সিনিয়র কনসালটেন্ট কং সুন মিন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট কনসালটেন্ট হাইযূন গ্যাপ জেং, প্রকল্প পরিচালক ডা. জুলফিকার রহমান খান প্রমুখ।

প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতালটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর দিকে ১২ বিঘা জমির উপর নির্মাণ করা হবে।