Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

যেভাবে কার্যকর হবে “ফাঁসি”

fasi_kamrujjaman

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় আপিল বিভাগ বহাল রেখেছেন।
তার ফাঁসির রায় কিভাবে কার্যকর হবে, তা জানতে দেশের মানুষ এখন উদগ্রিব। হোটেল-রেস্তোঁরা, দোকানপাট, বিপনি-বিতান এবং চায়ের টেবিলে এখন একই আলোচনা–কখন হবে ফাঁসি!

chardike-ad

কারাবিধি অনুযায়ী বিচারিক অঞ্চলের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ফাঁসির আদেশ ঘোষণার দিনই আদেশ সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। আদেশ অবহিত হওয়ার পর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রায় সম্পর্কে জানাবেন কারা কর্তৃপক্ষকে।

আপিল আদালতের রায় ও আদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পৌঁছাতে হবে। রায় ও আদেশ পাওয়ার পর অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আসামির বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করবেন। এরপর মৃত্যু পরোয়ানা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে কারাগারে পৌঁছাতে হবে। কারা কর্তৃপক্ষ মৃত্যু পরোয়ানা আসামিকে পড়ে শোনাবেন।

আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারবেন। তবে এটি চাইতে হবে রায় ঘোষণার সাত দিনের মধ্যে। কোন কারণে আসামি সাত দিনের মধ্যে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করতে না পারলেও পরবর্তী ১৪ দিনের মধ্যে সেটি করতে পারবেন। অর্থাৎ রায় ঘোষণার ২১ দিনের মধ্যে যে কোন আসামি প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন।

তবে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করার পর রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত কারা কর্তৃপক্ষ রায় কার্যকর করতে পারবেন না।

মৃত্যুদন্ডিত আসামি প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করবেন কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে। কারা কর্তৃপক্ষ প্রাণ ভিক্ষার আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। এরপর আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেটি পাঠাবে রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তও আসবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কারা কর্তৃপক্ষকে জানাবে।

কারাবিধি অনুযায়ী ফাঁসির আদেশ কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছানোর ২১ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে। তবে রাষ্ট্রপতি কিংবা সংশ্লিষ্ট আদালত রায় স্থগিত করলে রায় কার্যকর করাও স্থগিত হবে।