
সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ প্রণয়নের মাধ্যমে বিচার বিভাগের বহুদিনের দ্বৈত প্রশাসনিক জটিলতা দূর হয়েছে এবং প্রথমবারের মতো সর্বোচ্চ আদালত পূর্ণ প্রশাসনিক ও আর্থিক স্বায়ত্তশাসন অর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
শনিবার চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু বে-ভিউ হোটেলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) আয়োজিত ‘অপারেশনালাইজিং কমার্শিয়াল কোর্ট’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান বিচারপতি বলেন, “স্বায়ত্তশাসনের ফলে বিচার বিভাগ এখন নিজস্বভাবে পদসৃজন, বাজেট বরাদ্দ, প্রশিক্ষণ উন্নয়ন, নীতিমালা প্রণয়নসহ দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই বিচার সংস্কার এগিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, গত দেড় বছরে সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সাংবিধানিক স্বচ্ছতার ভিত্তিতে বিচারব্যবস্থায় যে মৌলিক রূপান্তর ঘটেছে, তা দেশের বিচারিক ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক। তার মতে, এই রূপান্তর বিচার বিভাগকে এক নতুন প্রাতিষ্ঠানিক যুগে প্রবেশ করিয়েছে।
সেমিনারে প্রধান বিচারপতি বলেন, ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের দাবি অনুযায়ী একটি বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠা দেশের অর্থনীতির জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। তিনি জানান, দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতিতে ব্যবসায়িক বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে বিশেষ এই আদালত শিগগিরই বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে।
একই স্থানে আয়োজিত দ্বিতীয় সেশন ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অর্ডিনেন্স ২০২৫’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মারুফ আল্লাম।
তিনি বলেন, নতুন আইনে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ স্বাধীনভাবে তদন্ত করার ক্ষমতা কমিশনকে দেওয়া হয়েছে—যা আগের আইনে ছিল না। আগে কমিশনের ভূমিকা ছিল পরামর্শক; নতুন আইনে এটি কার্যকর তদন্তকারী সংস্থায় রূপান্তরিত হয়েছে।
মানবাধিকার অর্ডিনেন্স প্রণয়নকারী ব্যারিস্টার তানিম হোসাইন শাওন জানান, নতুন আইনের মাধ্যমে কমিশনকে আরও ক্ষমতাবান করা হয়েছে।





































