Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ক্ষতিপূরণের শর্তে ছিটমহল বিনিময়: মমতা

momotaক্ষতিপূরণের বিনিময়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময়ে রাজি আছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে এ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

chardike-ad

কারণ স্পষ্ট করে না বললেও এই সময় জানিয়েছে, ভারতীয় ছিটমহলের অধিকাংশ বাসিন্দা বাংলাদেশের নাগরিক হতে আগ্রহী নন। ফলে বাংলাদেশে চলে আসা ছিটমহলের যে বাসিন্দারা ভারতে চলে যেতে চাইবেন। তাই এইসব ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দিয়েই বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করার দাবি জানিয়েছেন মমতা।

পূর্বের অবস্থান থেকে সরে আসার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মমতা বলেন, ছিটমহল বিনিময়ে স্থানীয় লোকেদের আপত্তি না থাকলে, আমার আপত্তি থাকার কথা নয়। আমরা সমীক্ষা করে দেখেছি, স্থানীয় লোকের আপত্তি নেই। তারা কেবল উপযুক্ত পরিমাণ ক্ষতিপূরণ চাইছেন।

তবে এই সময় জানিয়েছে, মমতা আপত্তি জানানোয় এতদিন হতাশ ছিলেন ছিটমহলের বাসিন্দাদের একাংশ। তারা এ নিয়ে লাগাতার আন্দোলন করে গিয়েছেন, লাগাতার চাপ সৃষ্টি করেছেন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের উপর। সেই বাস্তবতা বুঝতে পেরে আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

তবে ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে কিন্তু তিনি অনড়। তিনি বলেন, আমি শুনেছি, স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে একতরফা কথা হয়েছে। কিন্তু এ ভাবে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে বুলডোজ করে একতরফা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।

মমতার এই মনোভাবকে স্বাগত জানিয়েছে ছিটমহল বিনিময়ের দাবিতে আন্দোলনরত ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় দাবি সমন্বয় সমিতি। সংগঠনটির সহ-সম্পাদক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে স্বাগত জানাচ্ছি। এটা সামগ্রিক ভাবে বাংলা ও বাঙালির জয়। এই চুক্তি হওয়ার সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্কের নতুন দিগন্ত খুলতে চলেছে।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমটি আরও জানায়, এখন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার আসামের বিজেপি নেতাদের রাজি করাতে পারলেই বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষরে আর কোনও সমস্যা থাকবে না।

এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও চুক্তি নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল বিজেপির। তাদের দাবি, ছিটমহল বিনিময়ের ফলে আসামের প্রচুর জমি বাংলাদেশে চলে যাবে। বিনিময়ে ভারত যা পাবে, তার আয়তন তুলনায় অনেক কম। সীমান্ত চুক্তি করতে হলে বাংলাদেশকে সমপরিমাণ জমি আসামকে দেওয়ার দাবি তুলেছেন সে রাজ্যের বিজেপি নেতারা।

বিরোধী দলে থাকাকালে বিজেপি নেত্রী এবং বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও এই যুক্তিতেই সীমান্ত চুক্তির বিরেধিতা করেছিলেন৷

তবে ছিটমহল ইউনাইটেড কাউন্সিল নামে অপর একটি সংগঠন এ ভাবে ঢালাও ছিটমহল বিনিময়ের বিরোধিতা করছে। ওই সংগঠনের উপদেষ্টা দেবব্রত চাকি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যটিই অপ্রাসঙ্গিক। কেননা, বড় বড় ছিটমহলগুলি বিনিময় না-করে করিডর তৈরির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের দাবি করেছি আমরা।

এদিকে এই সময় আরও জানিয়েছে, ছিটমহল বিনিময়ে সায় দিলেও তিস্তার জলবন্টন চুক্তি নিয়ে আগের মতোই অনড় মমতা৷ তার দাবি, তিস্তার জলের সঙ্গে রাজ্যের স্বার্থের প্রসঙ্গটি জড়িত।

মমতা অভিযোগ করে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার গোপনে ফরাক্কার জল ছেড়েছে। তিস্তার জল ছেড়েছে। কিন্তু তিস্তার জলবন্টনে রাজ্য কোনও ভাবে সায় দেবে না।

তিনি আরও দাবি করেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তার ও রাজ্য সরকারের সম্পর্ক আদৌ খারাপ নয়। আগের কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য তা খারাপ হয়েছিল।