Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

গ্রাহক সন্তুষ্টিতে অ্যাপলের চেয়ে এগিয়ে স্যামসাং

apple-vs-samsungসদ্য শেষ হওয়া বছরে অ্যাপলই মোবাইল ডিভাইস খাতে রাজত্ব করেছে বলা যায়। এ সময়ে শীর্ষ মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির ডিভাইস বিক্রি বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এদিকে খাতটির শীর্ষ প্রতিষ্ঠান স্যামসাংয়ের আয় গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে। মূলত কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানটির মোবাইল ডিভাইস বিক্রি কমার কারণেই তাদের সার্বিক আয় কমে যায়। কিন্তু বিক্রি কমলেও গ্রাহক সন্তুষ্টিতে এগিয়ে রয়েছে স্যামসাং। এ প্রথম গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জনে অ্যাপলকে ছাড়িয়েছে কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানটি। আমেরিকান কাস্টমার স্যাটিসফেকশন ইনডেক্সে (আসকি) সম্প্রতি এ তথ্যই উঠে আসে। খবর টেকটু।

মার্কিন গ্রাহকদের সন্তুষ্টি সূচকই আসকি। প্রতি বছরই মোবাইল ডিভাইস খাতের গ্রাহকরা কোন প্রতিষ্ঠানের ডিভাইস ব্যবহারে বেশি সন্তুষ্ট, তার ওপর জরিপ চালানো হয়। আর এ জরিপের ফলই আসকি সূচকে উঠে আসে। এবারই প্রথম সূচকটিতে অ্যাপলকে ছাড়িয়ে গেলো স্যামসাং। ২০১৩ সালের তুলনায় স্যামসাংয়ের সূচক বেড়েছে ৫ পয়েন্ট। আর অ্যাপলের কমেছে ২ পয়েন্ট। সম্প্রতি প্রকাশিত আসকি সূচকে স্যামসাংয়ের পয়েন্ট ৮১। আর অ্যাপলের পয়েন্ট ৭৯।

chardike-ad

গত বছর বেশকিছু নতুন সেবা ও ডিভাইস এনেছিল অ্যাপল। এর মধ্যে আইফোন সিক্স ও সিক্স প্লাস অন্যতম। মূলত বড় পর্দার মোবাইল ডিভাইসের চাহিদা বাড়ার কারণেই আইফোনের বড় সংস্করণ আনা হয়েছে। এছাড়া আইওএস ৮ উদ্বোধন করে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু বেশকিছু ত্রুটির কারণে আইওএস ৮.০.১ সংস্করণটি বাজার থেকে উঠিয়ে নিতে বাধ্য হয় অ্যাপল কর্তৃপক্ষ। গ্রাহকরা জানান, অপারেটিং সিস্টেমটি চালিত ডিভাইসের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে গেলে অনেক সময় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিত। এর মধ্যে অন্যতম ছিল কল ড্রপ। এছাড়া অপারেটিং সিস্টেমটির প্রয়োজনীয় অনেক সেবায় ত্রুটি থাকার কারণে গ্রাহকরা ধীরে ধীরে এ থেকে সরে আসে।

একাধিক সূত্রে জানা যায়, অ্যাপল ডিভাইসের মাধ্যমে আইক্লাউডে প্রবেশ করতে গেলে অনেক ক্ষেত্রেই ভেরিফিকেশন কোড লেখার জন্য কিপ্যাড প্রদর্শন করত না। এছাড়া ভয়েজমেইল ব্যবহারেও ছিল বিভিন্ন সমস্যা। বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের সমস্যার কারণে অ্যাপল ডিভাইস ব্যবহারে গত

বছর গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা খুব একটা ভালো

ছিল না।

এদিকে স্যামসাংও গত বছর বেশকিছু ডিভাইস ও সেবা বাজারে এনেছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গ্যালাক্সি এসফাইভ। ডিভাইসটিতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার ও হূদস্পন্দন পর্যবেক্ষণের মতো সেবা ছিল। মূলত এ দুটি সেবার কারণেই ডিভাইসটি বাজারে বেশ সাড়া পায়। পরে অবশ্য ডিভাইসটি নিয়ে গ্রাহকদের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

এছাড়া ডিভাইসটি ধুলা ও পানিরোধী হওয়ার কারণে গ্রাহকরা তা কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই ব্যবহার করতে পারছেন। এদিকে গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধে কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানটি উদ্বোধন করে গ্যালাক্সি নোট ফোর। ডিভাইসটি এরই মধ্যে বাজারে বেশ সাড়া ফেলেছে। ডিভাইসটির কোনো ত্রুটির বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সাম্প্রতিক বেশ কিছু প্রতিবেদনে জানা যায়, আয় কমার কারণে স্যামসাং মোবাইল ডিভাইস উত্পাদন হ্রাস করবে। এতে করে পণ্যের মান বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

গত বছর প্রতিষ্ঠানটির আয় তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে আসে। এ কারণে ২০১৪কে স্যামসাংয়ের জন্য খারাপ সময় বলেই অভিহিত করছিলেন বাজার বিশ্লেষকরা। কিন্তু গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জনে অগ্রগতি গত বছরে প্রতিষ্ঠানটির অর্জন হয়েই থাকবে।