Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

‘আয়ের চেয়ে পাচার বেশি’

debpriyoবিদেশ থেকে যে পরিমাণ অর্থ আয় হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সিপিডি আয়োজিত ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০১৪-১৫ অর্ন্তবর্তীকালীন পর্যালোচনা’ শীর্ষক এক আলোচনায় এ তথ্য প্রদান করেন তিনি।

chardike-ad

বিনিয়োগ, সংস্কার ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাকে প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রধান বাধা উল্লেখ করে- দেবপ্রিয় বলেন, ‘সরকারের প্রথম দিকে যে ধরনের সংস্কার দেখা গিয়েছিল, তা ২০১২-১৩ অর্থবছর থেকে দেখা যাচ্ছে না। গত কয়েক মাসে ব্যাংকিং খাত বিপর্যস্ত অবস্থায় চলে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশে একদিকে বিনিয়োগ হচ্ছে না, অন্যদিকে দেশ থেকে টাকা বাইরে পাচার হয়ে যাচ্ছে। বিদেশ থেকে আমাদের যে পরিমাণ আয় হচ্ছে, তার থেকে বেশি পরিমাণ অর্থ পাচার হয়ে যাচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘মূলধনী যন্ত্র কেনার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মূল্য দেখিয়ে বিদেশে টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে আমরা মনে করছি। আবার বিদেশি ঋণ নেওয়ার মাধ্যমে পাচার করা অর্থই আনা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। এ বিষয়টি সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের খতিয়ে দেখা উচিত।’

ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘বাংলাদেশে৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হার স্বাভাবিকে পরিণত হয়েছে। কিন্তু জিডিপির প্রাক্কলন ধরা হয়েছে, ৮ শতাংশ। এখন প্রবৃদ্ধির হার ৭ থেকে ৮ শতাংশে নিয়ে যাওয়াই বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য সবচে বড় চ্যালেঞ্জ। এ জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন সুপার রেট অফ গ্রোথ। আর এর জন্য প্রয়োজন বিনিয়োগ। কিন্তু চলতি অর্থবছরে বিনিয়োগের যে পরিস্থিতি, তাতে এ অর্থবছর শেষে প্রবৃদ্ধি ৬.৫ শতাংশ হবে কিনা তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে ।’

বিনিয়োগ না হওয়ার বিষয়ে সিপিডির অতিরিক্ত গবেষক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের কাছে অর্থ আছে। কিন্তু বিনিয়োগের সহায়ক উপকরণের সমস্যা রয়েছে। বিদ্যুৎ, গ্যাস, জমি ও অবকাঠামোগত সমস্যার সমাধান হয়নি। এটি বিনিয়োগ না হওয়ার অন্যতম কারণ।’