Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ফ্লাইট বন্ধ করে লোকসান কমানোর চেষ্টায় বিমান

bangladesh bimanসেবার মানে সন্তুষ্ট নন যাত্রীরা। উড়োজাহাজগুলোর বেশির ভাগই পুরনো। শিডিউল বিপর্যয় তো আছেই। যাত্রী হয়রানি, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে দুর্নীতি, বিমানের ফ্লাইট ক্যাটারিং সেবা নিয়ে জটিলতা, এ সব বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নিত্যদিনের চিত্র। এ কারণে দিনদিন বিমান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন যাত্রীরা। ফলে লোকসান কাটিয়ে লাভের মুখ দেখছে না রাষ্ট্রীয় এই প্রতিষ্ঠানটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কয়েকটি রুটে ফ্লাইট বন্ধ রেখে লোকসান কমিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একের পর এক ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়ে লোকসান কমিয়ে আনার চেষ্টা স্থায়ী সমাধান নয়। বরং নতুন প্রজন্মের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেবার মান বাড়ানোর পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনতে পারলে লাভের মুখ দেখবে প্রতিষ্ঠানটি।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বিমানের পরিচালনা পর্ষদের সভায় লোকসান কমিয়ে আনতে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়। লোকসান কাটিয়ে উঠতে জার্মানির ফ্রাংকফুর্ট ফ্লাইট বন্ধ রেখেছে বিমান। গত ১ নভেম্বর থেকে ওই রুটে ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়। দিল্লি ও হংকং ফ্লাইটেও যাত্রী কম থাকায় দিনের পর দিন লোকসান গুনতে হতো বিমানকে। এখন যাত্রী বাড়ানোর উদ্যোগ না নিয়ে ওই দুটি রুটে ফ্লাইটও বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে নতুন দু-একটি রুটে ফ্লাইট চালুর ব্যাপারেও চিন্তা করছে বিমান। সেক্ষেত্রে কতটুকু লাভজনক অবস্থায় ফিরতে পারবে প্রতিষ্ঠানটি তা দেখার জন্য সময় লাগবে।

chardike-ad

গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৫ম বৈঠকে বিমানকে লোকসান থেকে টেনে তোলার ব্যাপারে আলোচনা হয়। বৈঠক সূত্র জানায়, লোকসান কমিয়ে আনতে যেসব রুটে বিমান পরিচালনায় লোকসান হচ্ছে সেই রুটগুলো বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করে সংসদীয় কমিটি। সেই সুপারিশ মেনেই লোকসান হওয়া রুটগুলোতে ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিমান।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নতুন প্রজন্মের কয়েকটি উড়োজাহাজ আনার পর দু-একটি রুটে বিমানের যাত্রী বেড়েছে। বিশেষ করে লন্ডনের ফ্লাইটে আগের তুলনায় যাত্রী বেড়েছে। গত বছরের ৩১ অক্টোবর থেকে ঢাকা-লন্ডন রুটে সপ্তাহে বিমানের চতুর্থ ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ এবং জাপানের মধ্যে সপ্তাহে বিমানের দুটি ফ্লাইট পরিচালনার সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা পাওয়া গেলে এ বছরের মধ্যে জাপানে বিমানের ফ্লাইট পরিচালনার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি চীনের কুনমিং, গোয়াংজু, শ্রীলংকার কলম্বো, মালদ্বীপের মালে এবং সৌদি আরবের মদিনায় ফ্লাইট পরিচালনার কথা ভাবছে বিমান।

জানতে চাইলে বিমানের জনসংযোগ বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক তাসমিন আক্তার বলেন, ‘সাময়িকভাবে কয়েকটি রুটে ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়েছে। আরও নতুন কয়েকটি রুটে ফ্লাইট চালু করার প্রস্তুতি চলছে। এ বছর আরও নতুন দুটি উড়োজাহাজ বিমানে যুক্ত হবে। তখন নতুন রুটে ফ্লাইটগুলো চালু সম্ভব হবে।’

সূত্রে জানা গেছে, বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া যাত্রী সেবার মানোন্নয়নে সম্প্রতি অন-লাইন বুকিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এতে টিকিট কেনার জন্য ট্রাভেল এজেন্সি কিংবা বিমান অফিসে যাওয়ার দরকার হবে না।

সর্বশেষ সংসদীয় কমিটির বৈঠকেও বিমানের সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বৈঠক সূত্র জানায়, সেবার মানোন্নয়ন এবং কেবিন ক্রুদের আরও দায়িত্ববান হওয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি। আধুনিক টিকেটিং এবং অডিটিং সিস্টেমের বিষয়টিও এসেছে আলোচনায়।

বিমান সূত্র জানায়, বিমানের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগের জন্য একজন মহাব্যবস্থাপক বা উপ-মহাব্যবস্থাপক নিয়োগের কথা চিন্তা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিমানের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বাণিজ্যিকভাবে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জন্য বিমানের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। বিমানের একটি বোর্ড সাব-কমিটি বিমানের নিরীক্ষা আপত্তিগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এই কাজের সুবিধার্তেই একজন দক্ষ মহাব্যবস্থাপক বা উপ-মহাব্যবস্থাপক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।’

আয় কমছে প্রতিবছর

বিমান থেকে পাওয়া বিগত কয়েক বছরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিমানের যাত্রী পরিবহন এবং আয় দুটোই প্রতিবছর কমে আসছে। গত ২০১২-১৩ অর্থবছরের হিসাবের সঙ্গে তুলনা করে দেখা যায়,  চলতি অর্থবছরে যাত্রী পরিবহন ১৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ কমেছে। এ কারণে বিমানের আয়ও কমেছে ১৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এছাড়া গত অর্থবছরে বিমান প্রায় ২৫৪ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে। এর আগের অর্থবছরে বিমান লোকসান দেয় ১৯১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

ফ্লাইট ক্যাটারিং সেবা নিয়েও প্রশ্ন

বিমানের ফ্লাইট ক্যাটারিং সেবা নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ। আর এ কারণেও বিমানের যাত্রী কমে গিয়ে লোকসান বাড়ছে বলে জানা যায়। খাবারের মান খারাপ হওয়ায় ২০১২ সালে বিএফসিসির খাবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সাউদিয়া এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ। একই বছর খাবার নেওয়ার চুক্তি বাতিল করে সাউদিয়া এয়ারলাইনস। এ চুক্তি বাতিলের ফলে বছরে ১২ কোটি টাকার আয় থেকে বঞ্চিত হয় বিএফসিসি। এর আগে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, এমিরেটস এয়ারলাইনস, ইত্তেহাদ এয়ারওয়েজ, মালয়েশিয়া এয়ারলাইনস, ভুটানের ড্রুক এয়ারওয়েজ, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের মতো খ্যাতনামা এয়ারলাইনসগুলোও মান খারাপ হওয়ার অভিযোগে বিএফসিসি থেকে খাবার নেওয়া বন্ধ করে দেয়।

সর্বশেষ চলতি বছরের জুলাইয়ে বিএফসিসি থেকে খাবার নেওয়া বন্ধ করে দেয় বেসরকারি এয়ারলাইনস রিজেন্ট এয়ারওয়েজ। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, নভোএয়ার ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসও নিজস্ব ব্যবস্থায় যাত্রীদের খাবার সরবরাহ করেছে। অভিযোগ রয়েছে, বিএফসিসি, বিমান প্রশাসন ও বিভিন্ন দেশের স্টেশন কর্মকর্তাদের সিন্ডিকেটের কারণে বিমানের ক্যাটারিং সেবার উন্নয়ন হচ্ছে না। এ সিন্ডিকেটের যোগসাজশে বিমানের বিভিন্ন রুটের ফ্লাইটে খাবার পরিবেশনের নামে দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাট করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, বিমানের বিভিন্ন রুটের ফ্লাইটে খাবার পরিবেশনের নামে প্রতি বছর এ শাখায় লুটপাট হচ্ছে গড়ে ৪০-৫০ কোটি টাকা। সংস্থাটি একদিকে যাত্রীদের জন্য তৈরি করছে মানহীন ও অস্বাস্থ্যকর খাবার, অন্যদিকে অতিরিক্ত খাবার সরবরাহ করার নামে লোপাট করছে কোটি কোটি টাকা।

বিমানের নিয়মিত যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিমানের সেবার মান দিন দিন খারাপ হওয়ায় অনেকেই বিমানের আরোহী হওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। যাত্রীদের মতে, বিমানের টিকিট কাটা থেকে বিমান থেকে নামা পর্যন্ত যাত্রী হয়রানি যেন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিমানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রুটের টিকিট কাটতে গিয়ে কেউ কমিশন না দিয়ে টিকিট পান না। কেউ যদি কমিশন দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তাহলে সিট থাকার পরও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় বিমানের টিকিট নেই। টিকিট ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িতরা বিভিন্ন সময় যাত্রীদের লাঞ্ছিতও করে থাকেন।

বিমানবন্দরে বিমানের লাগেজ নিয়ে হয়রানির ঘটনাও ঘটছে অহরহ। কাটাছেঁড়া লাগেজের সংখ্যা কমলেও সময়মতো লাগেজ হাতে পাওয়া নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।

শুধু তাই নয়, চলতি বছর টানা কয়েকবার বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটিতে ফ্লাইট বাতিল হওয়ায়ও যাত্রীরা বাংলাদেশ বিমানে চড়তে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে বলেও জানা গেছে। বিমানের কয়েকটি উড়োজাহাজ পুরনো হওয়ায় এগুলোতে প্রায়ই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এ কারণে বিভিন্ন সময় ফ্লাইট বাতিল করা হলে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ে। এ কারণে বিমানের নিয়মিত যাত্রীদের মধ্যে এক ধরনের ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে গত ৫ আগস্ট উড্ডয়নের পর উড়োজাহাজে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় বাতিল করা হয় বিমানের ঢাকা-কাঠমান্ডু রুটের ফ্লাইট এয়ারবাস-৩১০। একই মাসে উড়োজাহাজে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানের ঢাকা-কাঠমান্ডু ফ্লাইটও বাতিল করা হয়েছিল। এছাড়া জুলাই মাসে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ১৯১ যাত্রী নিয়ে অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় বিমানের এই উড়োজাহাজটি। আর এসব কারণে বিমানে চড়ার প্রতি যাত্রীরা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

নতুন রুটেও অগ্রগতি কম

নতুন রুট চালুর বিপরীতে বন্ধ হয়েছে অনেক চালু রুট। অভিযোগ একটাই, লোকসান। এই লোকসান থেকে বাঁচতে রুট বন্ধ করা হলেও লাভজনক রুট চালুর ব্যাপারে উদ্যোগের গতি মন্থর। গত হজ মৌসুমে হজযাত্রী পরিবহনের জন্যও বেশ কয়েকটি রুটে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, হজযাত্রী পরিবহনের জন্য আন্তর্জাতিক কয়েকটি রুটের বিমানের শিডিউল কাটছাঁট করা হয়। এতে সেসব আন্তর্জাতিক রুটের যাত্রীরা বিমানের টিকিট কিনছেন না বলেও জানিয়েছেন বিমানের মার্কেটিং শাখার একাধিক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কেটিং শাখার কর্মকর্তা বলেন, একের পর এক পরিকল্পনাহীনভাবে বিভিন্ন রুট কাটছাঁট করার কারণে দিনদিন বিমানের যাত্রী কমছে। এছাড়া বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে শিডিউল জটিলতায় বিমানের নতুন কোনো রুটও চালু হচ্ছে না সহসাই। তাই বিমানের আয়ও কিছুটা কমে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান পরিচালিত গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের বরাদ্দ এবং যন্ত্রপাতি কেনা ও এর ব্যবহারের আয় নিয়েও রয়েছে বিমান কর্মীদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ। জানা যায়, বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ও যন্ত্রপাতি কেনা বাবদ প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৭৮০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। এর মধ্যে শুধু গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং থেকে বরাদ্দের সাড়ে ৩০০ কোটিরও বেশি টাকা সরানো হয়েছে। বাকি টাকা যন্ত্রপাতি কেনা এবং এগুলো ব্যবহারের আয় থেকে দফায় দফায় লোপাট হয়েছে বলে জানা যায়।

সংসদীয় কমিটির উদ্বেগ, রুট বন্ধের সুপারিশ

গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৫ম বৈঠকে বিমানের অনবরত লোকসানের বিষয়ে আলোচনা হয়। রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এই প্রতিষ্ঠানটি এভাবে দিনের পর দিন লোকসানের পথে হাঁটলে ভবিষ্যতে ভালো কিছু অপেক্ষা করছে না বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে বাংলাদেশ বিমান পরিবহন নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় কমিটির সদস্যরা বিমানের অব্যাহত লোকসানে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, বিমানকে লাভজনক করতে একের পর এক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন পদগুলোতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। তবুও লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যেসব রুটে সবসময় লোকসান গুনতে হচ্ছে, সেসব রুট বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে না কেন?

আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কমিটি  যেসব রুটে বিমান লোকসান দিচ্ছে সে রুটগুলো বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করে। একই সঙ্গে লাভজনক রুটে বিমান চলাচল অব্যাহত রাখা, বিমানের সেবার মানোন্নয়ন এবং বিমানের লোকসান পর্যায়ক্রমে কমিয়ে বিমানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও বিমানের টিকেটিং সিস্টেম উন্নয়ন ও নিরীক্ষা কার্যক্রম জোরদার  করার সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে বিমানবন্দরের বোর্ডিং ব্রিজগুলোর আধুনিকায়নের পাশাপাশি আরও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে সোনারগাঁও প্যান প্যাসিফিক হোটেল ও ইন্টার কন্টিনেন্টাল ঢাকা (রূপসী বাংলা) হোটেল নিয়ে আলোচনা হয়। কমিটি এসব হোটেলে মুক্তিযুদ্ধের কর্ণার চালু করার সুপারিশ করে। এছাড়া হোটেলের সংস্কার, খাবারের মান বৃদ্ধি, নিরাপত্তা জোরদার এবং নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগত অতিথিদের সঙ্গে সুন্দর আচরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয় বৈঠকে।- সাপ্তাহিক এই সময়-এর সৌজন্যে।