Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

পাকিস্তানে কফিনের রমরমা ব্যবসা

pakistanক্রমাগত জঙ্গি হামলায় প্রাণ যাচ্ছে একের পর এক নিরীহ মানুষের। আর তাতেই ফুলে ফেঁপে উঠছে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। যত মৃত্যু, তত রোজগার। হঠাৎ রোজগার বেড়ে যাওয়া এই ব্যবসায়ীরা হলেন কফিন ব্যবসায়ী।

সংবাদ সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে ভারতের সংবাদ মাধ্যম এই সময় জানিয়েছে, পাকিস্তানে ১০ বছরে ব্যাপক হারে বেড়েছে কফিন বিক্রি। তার কারণ সন্ত্রাসবাদী হামলা। এই হামলা মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় দিনে ১৫টির বেশি কফিন বিক্রি হচ্ছে দেশটিতে।

chardike-ad

পেশোয়ারের কফিন ব্যবসায়ীদের কয়েকজন জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগেও কফিন বিক্রি এতো কম হতো যে, সংসারে আর্থিক অনটন ছিল নিত্য সঙ্গী। গত কয়েক বছরে সংসারে সচ্ছলতা ফিরেছে। এমনকি অবস্থা এমন পর্যায়ে উঠেছে যে, চাহিদার তুলনায় উৎপাদন ঘাটতি দেখা দেওয়ার জোগাড়।

পাকিস্তানে ইসলাম পরলৌকিক যাত্রায় কফিনের ব্যবহার নেই। কিন্তু এলোপাতাড়ি গুলি, আত্মঘাতী বিস্ফোরণ বা আইইডি হামলার মতো জঙ্গি নাশকতায় মৃত্যু হলে মৃতদেহ ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখন দেহের প্রত্যেকটি অঙ্গ খুঁজে এক জায়গায় জড়ো করে রাখতে কফিনকেই বেছে নেওয়া হয়।

পেশোয়ারের এক কফিন ব্যবসায়ী জেহানজেব খান জানান, ‘আমি ৮০-র দশকে যখন কফিন ব্যবসা শুরু করেছিলাম, তখন দিনে হয়তো খুব বেশি হলে দুই বা তিনটি কফিন বিক্রি হতো। মূলত আফগান শরণার্থীরাই এই কফিন কিনতেন। কিন্তু ২০০৪ সাল থেকে ব্যবসাটি হঠাৎ বেড়ে গেছে।