Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আগামী সপ্তাহে ভিন্নধর্মী আন্দোলনে নামছে বিএনপি

dhaka bnpরাজধানী ঢাকাকে দখলে নিতে একরকম মরিয়া হয়ে উঠেছে বিএনপি। এ ব্যাপারে ভেতরে ভেতরে নানামুখী কৌশল নিয়ে আগাচ্ছে দলটি। বিএনপির কতিপয় তরুণ নেতা এই নতুন কৌশলের সলাপরামর্শে রয়েছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। তবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান এবং বিশেষ করে মা-ছেলের বিস্বস্ত হিসাবে পরিচিত আর দু/চারজন নেতাছাড়া দলের ‘রাঘব-বোয়ালরা’ সবাই অন্ধকারে।

তাদেরকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তারা এ কথায় জবাব দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান। বলেন, এ ব্যাপারে ভালো জানেন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

chardike-ad

গত ২৪ দিন ধরে টানা অবরোধের পাশাপাশি হরতাল দিয়ে সরকারকে কাবু করার চেষ্টা চালানো হলেও আগামীতে কিছুটা ভিন্নধর্মী আন্দোলন নিয়ে মাঠে থাকতে চাইছে দলটি।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমানা কোকোর জানাজায় লাখো মানুষের উপস্থিতির পর বিএনপি এখন নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে। বিস্বস্ত একটি সূত্র জানায, বিএনপি সর্বশেষ শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ বা গণমিছিলের মতো কিছু একটা কর্মসূচি দিয়ে জনগণের দৃষ্ট আকর্ষণ ছাড়াও সরকারকে চাপে ফেলতে চাইছে।

তবে গণসমাবেশ বা গণমিছিল টাইপের আন্দোলনে বাধা দিলে যেভাবে আন্দোলন চলছে সেভাবেই অগ্রসর হবে বিএনপি।

চলমান আন্দোলনে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের গণহারে সম্পৃক্ত করা যাচ্ছে না। শীর্ষ পর্যায় থেকে কেনো ধরণের মেসেজও তৃণমূল পাচ্ছে না। আন্দোলন আসলে কোনো দিকে যাচ্ছে সে নিয়ে তৃণমূলে নানা বিভ্রান্তিও রয়েছে। মাঝেমধ্যে খালেদা জিয়ার সঙ্গে স্থায়ী কিমিটির নেতাদের বৈঠক ছাড়া দলের আর কোনো পর্যায়েই সভা-সমাবেশের বালাই নেই। এ পরও ‘অলৌকিক কোনো ক্ষমতাবলে’ ঢাকা অচল করতে চাইছেন খালেদা জিয়া। রাজধানী দখলের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ড অচল করতে চায় দলটি।

২০ দলীয় জোটের শীর্ষস্থানীয় দু/এক জন নেতা মনে করছে, অবরোধের পাশাপাশি হরতাল দেয়া হলেও আন্দোলন কর্মসূচি কিছুটা ঝিঁমিয়ে পড়েছে। তাই আন্দোলনে নতুনত্ব আনতে আগামী সপ্তাহে ঢাকায় গণমিছিল ও গণসমাবেশের মতো কিছু একটা কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক বিএনপির কয়েক জন শীর্ষস্থানীয় নেতা মনে করছেন, ২০ দলীয় জোট ঢাকা দখল করতে পারলেই সরকার দুর্বল হয়ে পড়বে। তখন সরকারের ওপর বিদেশী শক্তির চাপ বাড়বে এবং এক পর্যায়ে তারা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হবে। এই কারণে সড়ক, রেলপথ, নৌপথ ও সামগ্রিকভাবে সারাদেশকে ঢাকা থেকে বিচ্ছিন্ন করতে জোটের দলগুলো একযোগে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিভিন্ন  কর্মসূচি নিয়ে ২০ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে আলোচনা চলছে। এছাড়া পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে তা চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় ঠিক করবে। তাই এই বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে চাই না।

একই বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চলমান আন্দোলনের সফলতা আপনারা খুব শিগগির দেখতে পারবেন। আগামী সপ্তাহ থেকে আন্দোলনের নতুন কৌশল প্রয়োগ করা হবে। তবে সেই নতুন কৌশল কী হবে তা এখনও বলা যাচ্ছে না। সে আন্দোলন সফল না হলে পরবর্তীতে আবারও আন্দোলনের কৌশল পরিবর্তন হবে। কিন্তু বিজয় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এক্ষেত্রে আন্দোলনের গতিপথটাই শুধু পরিবর্তন করা হবে। ঢাকা টাইমস।