Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চেয়েছে উত্তর কোরিয়া

NORTH KOREA BANGLADESHঢাকায় উত্তর কোরিয়ার কূটনীতিকের স্বর্ণ চোরাচালানের ঘটনায় বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চেয়েছে দেশটি। দেশটির ঢাকা দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মুন সং হ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান। বার্তা সংস্থা এএফপিও গতকাল এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

সূত্র জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত মুন সং হকে তলব করা হয়। এ সময় ওই জড়িত কূটনীতিককে আইনের আওতায় এনে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। বাংলাদেশ সরকারের এ বার্তা উত্তর কোরিয়া সরকারের কাছে পৌঁছে দেবেন বলে জানান রাষ্ট্রদূত। পাশাপাশি বিষয়টির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান তিনি।

chardike-ad

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, মূলত ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী ‘ডিপ্লোমেটিক ইমিউনিটি’ থাকায় বাংলাদেশ এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নিয়ে উত্তর কোরিয়া সরকারকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বলেছে।’

এদিকে এরই মধ্যে ঢাকা ছেড়েছেন উত্তর কোরিয়ার কূটনীতিক সন ইয়ং ন্যাম। গত রোববার রাতে একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন।

৫ মার্চ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উত্তর কোরিয়ার কূটনীতিক সন ইয়ং ন্যামের লাগেজ থেকে ২৭ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। বিমানবন্দরে কোনো কূটনীতিকের লাগেজ থেকে স্বর্ণ উদ্ধার হওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম। সন ইয়ং ন্যামের গতিবিধি সন্দেহ হওয়ায় তার ব্যাগ তল্লাশি করতে চায় বিমানবন্দর কাস্টমস। কিন্তু তা তল্লাশি করতে দিতে তিনি অস্বীকৃতি জানান। এর পর সন ইয়ং ন্যামসহ তার জন্য অপেক্ষা করতে থাকা বাংলাদেশে নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত মুন সং হ, ফার্স্ট সেক্রেটারি কো চো মিন, থার্ড সেক্রেটারি রি চোল সান, ডেপুটি চিফ অব মিশন কেং কিংকে বিমানবন্দর এপিবিএন অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। রাষ্ট্রদূতসহ অপেক্ষায় থাকা কূটনীতিকরা নিজেদের পরিচয় না দিয়ে ন্যামকে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাস্টমস কর্মকর্তাদের বারবার চাপ দিতে থাকেন। পরবর্তীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের কর্মকর্তা, কাস্টমসের কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা দীর্ঘ সময় ধরে বৈঠক করার পর ভিয়েনা কনভেনশনের আইন অনুযায়ী স্বর্ণগুলো জব্দ করে ওই পাঁচ কূটনীতিককে ছেড়ে দেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে নির্দিষ্ট পরিমাণের বাইরে স্বর্ণ আনতে গেলে তার ঘোষণা দিতে হয়। পাশাপাশি করও পরিশোধ করতে হয়। অঘোষিতভাবে স্বর্ণ এলে তা চোরাচালানের মধ্যে পড়ে।