Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আর কদিন বেঁচে থাকার কৌশল!

kamruzzaman

মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত ফাঁসির আসামি কামারুজ্জামান সাত দিন বেঁচে থাকার কৌশল বেছে নিয়েছেন। তবে কারা কর্তৃপক্ষ সেই সময় দেবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

chardike-ad

বৃহস্পতিবার সকালে আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় কামারুজ্জামান বলেছেন, ‘প্রাণভিক্ষার ব্যাপারে আইনের বিধান পর্যালোচনা করে জেল কোডের সাত দিন সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্তের কথা কর্তৃপক্ষকে জানানো সম্ভব হবে।’

কামারুজ্জামানের আইনজীবী মো. শিশির মনির জেলগেটে সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রাণভিক্ষার ব্যাপারে কামারুজ্জামান নিজেই সিদ্ধান্ত নেবেন এবং তা কারা কর্তৃপক্ষকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জানিয়ে দেবেন। জেল কোড অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কামারুজ্জামান তার সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন। তিনি যতক্ষণ না জানাবেন ততক্ষণ তার ফাঁসি কার্যকর করা যাবে না। আর করলেও তা আইনগতভাবে বৈধ হবে না।’

এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত ফাঁসির আসামি কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে রিভিউ খারিজের দিনেই রায়ের শর্টকপি দিয়ে রায় কার্যকর করা হয়েছিল। কিন্তু কামারুজ্জামানের ক্ষেত্রে রিভিউ খারিজের চার দিন হতে চললেও তার রায় কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। কাদের মোল্লার বেলায় যেখানে শর্টকপি দিয়ে রায় কার্যকর হয়েছে সেখানে কামারুজ্জামানের বেলায় পূর্ণাঙ্গ কপি দিয়েও সম্ভব হচ্ছে না। রায় কার্যকর করতে বাধা কোথায়, তা কেউ সঠিক ব্যাখ্যা করতে পারছে না।

এ প্রসঙ্গে কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, একজন ফাঁসির আসামির ক্ষেত্রে জেল বিধান অনুযায়ী যা যা প্রাপ্য তার সবই কামারুজ্জামান পাবেন। সেই হিসেবে বলা যায়, কামারুজ্জামান প্রাণভিক্ষার জন্য সাত দিন সময় পাচ্ছেন।

ট্রাইব্যুনাল আইনে বলা আছে, সরকার তার সুবিধামতো সময়ে রায় কার্যকর করতে পারবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে গত মঙ্গলবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ফাঁসি কার্যকরের নির্দেশনাসংবলিত একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন। তারপরেও কেন রায় কার্যকর করা হচ্ছে না, তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু করেছেন সাধারণ লোকজন।

এদিকে কারাগারের একটি বিশ্বস্ত সূত্র রাইজিংবিডিকে জানিয়েছে, কামারুজ্জামানকে সাত দিন সময় দেওয়া হবে না। জেল কোডের বিধান কামারুজ্জামানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। একটি যৌক্তিক সময় তাকে দেওয়ার কথা ছিল। তা দেওয়া হয়েছে। প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি চাইবেন না, তা ভাবতে সাত দিন সময় লাগে না। এটি বেঁচে থাকার একটি অপকৌশল মাত্র। শেষে তিনি প্রাণভিক্ষা চাইবেন না। কারণ তারা কোনো দিন দোষ স্বীকার করবেন না।

অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, কামারুজ্জামানকে বাঁচাতে খোদ সরকারেরই লোকজন উঠেপড়ে লেগেছে। কামারুজ্জামান নিজে প্রাণভিক্ষা না চাইলেও সরকারের পক্ষ থেকে কেউ একজন তার হয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন বলে জানায় ওই সূত্রটি। এরকম কোনো বিধান আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, হ্যাঁ আইনে নাকি এরকম একটি বিধান আছে।

আজ বিকেল চারটার দিকে কামারুজ্জামানের পরিবারের সদস্যরা কারাগারে দেখা করতে আসবেন এমনটা শোনা গেলেও বড় ছেলে হাসান ইকবাল এরকম কোনো খবর দিতে পারেননি। সব মিলিয়ে কামারুজ্জামানের কপালে কী আছে, তা আসলে বোঝা মুশকিল। শুধু কয়েক দিন ধরে সাংবাদিক আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।