ফেসবুকের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নীতিমালা (প্রাইভেসি) লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে বেলজিয়ামের প্রাইভেসি প্রটেকশন কমিশন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এ নীতিমালা পরিবর্তন করে শীর্ষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। সম্প্রতি তা যাচাই করে এ অভিযোগ তুলেছে কমিশন। খবর রয়টার্স।
জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স ও স্পেনের নাগরিকদের গোপনীয়তা রক্ষা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা করে বেলজিয়ামের কমিশন। প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে ফেসবুকের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছিল কমিশন। তারা ফেসবুকের ট্র্যাকিং সিস্টেম থেকে রেহাই পেতে ব্যবহারকারীকে প্রাইভেসি সফটওয়্যার ইনস্টল করার পরামর্শ দিয়েছে। এমনকি সাইটটিতে যাদের অ্যাকাউন্ট নেই, তাদেরকেও এ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
কমিশনের বিবৃতিতে দেখা যায়, বেলজিয়াম ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনি নীতিমালার কোনো তোয়াক্কাই করেনি ফেসবুক। শুধু আয়ারল্যান্ডের বিধিমালা মেনে চলার আগ্রহ দেখিয়েছে তারা। এর পেছনের কারণ হলো ফেসবুকের ইউরোপীয় সদর দফতর সেখানেই অবস্থিত।
এ বিষয়ে বেলজিয়ান কমিশনের কথা বলার অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ফেসবুকের এক মুখপাত্র। তার পরও ফেসবুক বিষয়টি আমলে নিয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আয়ারল্যান্ডের তথ্য নিরাপত্তা কমিশনারকে সঙ্গে নিয়ে কমিশনের পরামর্শগুলো যাচাই করে দেখছে ফেসবুক। ব্যবহারকারী কী শেয়ার করছে এবং কার সঙ্গে শেয়ার করছে, বিষয়টির ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি। আর এ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্যই আমরা নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছি।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত বেশ কয়েকটি দেশ আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে তথ্য নিরাপত্তা ও করপোরেট কর আদায়ে ইচ্ছাকৃত শিথিলতার অভিযোগ তুলেছে। এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য হলো, দেশটিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য শুধু বাছাই করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ সুবিধা দিচ্ছে তারা। অন্যদিকে চলতি বছরই ফেসবুকের কার্যক্রম নিয়ে আরো একটি প্রতিবেদন প্রকাশের কথা জানিয়েছে কমিশন।