Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বিএনপিকে বশে আনাই ছিল মোদির সফরের আকর্ষণ

Khalada-modiভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এ সপ্তাহের সফরের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল বিরোধী দল বিএনপিকে বশে আনা। মোদির বাংলাদেশ সফর বিশ্লেষণ করে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ দাবি করেছে যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী সাময়িকী ইকোনমিস্ট।

সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। বিষয়টি মোদি ভালোভাবে নেননি বলে লিখেছে ভারতের জনপ্রিয় বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার। পত্রিকাটির মতে, উল্টো শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনায় বসার পরামর্শ দিয়েছেন মোদি।

chardike-ad

‘বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন্ডিয়া : মেকিং থিংস নরমাল’ শীর্ষক প্রতিবেদনে ইকোনমিস্ট লিখেছে, মোদির সফরের একটি বড় দিক ছিল বাংলাদেশকে চীনের প্রভাব থেকে বের করে আনা। সব ক্ষেত্রে ভারতমুখী করা। সেক্ষেত্রে এ সফর সফল বলেই মত দিয়েছে সাময়িকীটি। বলা হয়, যদিও স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে ভারত বাংলাদেশকে যথেষ্ট সহায়তা করেছিল তারপরও এখনও অনেক ক্ষেত্রেই এবং অনেকেরই ভারতবিরোধী মনোভাব রয়েছে। এ মনোভাব দূর করা ছিল সফরের অন্যতম লক্ষ্য। সেক্ষেত্রে বিরোধী দল বিএনপির ভারতবিরোধী মনোভাব দূর করার বিষয়টি ছিল সফরের বড় আকর্ষণ। এসব প্রচেষ্টায় রাজনীতির ক্ষেত্রে নতুন যুগেরই শুরু করলেন মোদি। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছরের শুরুতে বিএনপি নতুন নির্বাচন দেয়ার দাবিতে ভয়ংকর আন্দোলন করেও ব্যর্থ হয়। তখন থেকেই তারা দিকশূন্য। ২০০৬ সালের পর বিএনপিকে কখনও এতটা দুর্বল দেখা যায়নি।

the economistইকোনমিস্টের মতে, শেখ হাসিনার কঠোর হাতের চাল এতে ভূমিকা রেখেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএনপির বেশির ভাগ নেতা হয় তো নির্বাসনে না হয় জেলে। খালেদা জিয়ার মতো যারা জেলে বা নির্বাসনে নেই তাদের বিরুদ্ধে আদালতে রয়েছে নানা অভিযোগ। দলটির প্রধান মিত্র জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের বেশিরভাগই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা ফাঁসিতে মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিনিয়োগ, আমদানি-রফতানি ও নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সম্প্রতি চীন বাংলাদেশে ব্যাপক প্রভাব তৈরি করেছে। ভারতের জন্য সেটা উদ্বেগের। সফরে যেসব চুক্তি হয়েছে তাতে বাণিজ্যসহ অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে পথ পাল্টাতে হবে। তবে তিস্তাসহ ৫৪ নদীর পানি বণ্টন চুক্তি না হওয়ার দিক তুলে ধরে ইকোনমিস্ট বলছে, সংকটের সমাধান যে খুব সহজ নয় সেটা এতে স্পষ্ট হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ চুক্তিগুলোতে ভারতের অর্জনের পাল্লাকেই ভারি দেখছে ইকোনমিস্টও।

ইকোনমিস্টের মতে, শেখ হাসিনা বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশের নেতার কাছ থেকে অনুমোদন পাওয়ার জন্য উদগ্রীব ছিলেন এবং তার কাছ থেকে সহায়তা নিয়ে অন্যভাবে ইতিহাস গড়তে চেয়েছেন। মোদির এ সফর অবশ্য সে স্বীকৃতি দিয়েছেও।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সীমান্ত চুক্তি দু’দেশের সীমান্ত সম্পর্ককে নিঃসন্দেহে আরও ভালো অবস্থানে নেবে। জঙ্গি তৎপরতা, সন্ত্রাস ও অবৈধ অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে দু’দেশ আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে পারবে। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যার যে প্রবণতা ভারতের রয়েছে তাতে পরিবর্তন আসবে কিনা সেটির জন্য অনেক অপেক্ষা করতে হবে। যদি সেটা বন্ধ হয়, তবেই ভালো।