আট দিনের বন্দীদশা দেশে ফেরার পর স্থলবন্দরের বহির্গমন (ইমিগ্রেশন) চেকপোস্টে অপেক্ষামান সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নায়েক আবদুর রাজ্জাক। তখন সন্ধ্যা ৬টা। সঙ্গে ছিলেন বিজিবি প্রতিনিধিদলের সদস্যরাও।
সেখান থেকে বিজিবির টেকনাফ দপ্তরে রওনা দেন তিনি। এ সময় সাংবাদিকদের নায়েক রাজ্জাক বলেন, সীমান্তে পাহারা দেওয়ার সময় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী পুলিশ (বিজিপি) আমাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। সেখানে তারা আমার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। দেশের মাটিতে ফিরে আসতে পেরে আমি আনন্দিত।
তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মুখে রক্তের দাগ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওদের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তির সময় আমি মুখে আঘাত পাই। তখন কিছুটা রক্ত বের হয়। টেকনাফ স্থলবন্দরে পৌঁছার পর রাজ্জাক নিজেই হেঁটে ঘাটে উঠছেন। এ সময় তিনি বিজিবির পোশাকে ছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মিয়ানমারের মংডু টাউনশিপে এক পতাকা বৈঠকের পর রাজ্জাককে বিজিবি প্রতিনিধি দলের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পাঁচ ঘণ্টা পতাকা বৈঠক করে রাজ্জাককে হস্তান্তর করে মিয়ানমার। সাত সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব দেন টেকনাফ বিজিবির ৪২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু জার আল জাহিদ। একজন চিকিৎসকও ছিলেন প্রতিনিধিদলে।
বিকেল সোয়া ৪টায় রাজ্জাককে হস্তান্তর করে মিয়ানমার। পরে সঙ্গে থাকা চিকিৎসক রাজ্জাকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। সেই সঙ্গে অপহরণের সময় রাজ্জাকের সঙ্গে থাকা অস্ত্র ও গুলিও ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবির একটি সূত্র।
প্রতিদিনের মতো বিজিবির সদস্যরা ১৭ জুন সকালে দমদমিয়া চেকপোস্টের বিপরীতে লালদিয়ায় টহল দিচ্ছিলেন। ওই সময় একদল চোরাকারবারিকে ধাওয়া করেন বিজিবির সদস্যরা। একপর্যায়ে চোরাকারবারিরা বিজিবির আওতার বাইরে চলে যায়। এ সময় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা বিজিবির টহল দলের ওপর গুলি চালায়। এতে বিপ্লব নামের এক বিজিবির সদস্য গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় নায়েক রাজ্জাক নাফ নদীতে পড়ে গেলে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে ধরে নিয়ে যায়।





























