Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আমজাদের লাশ দাফন প্রতিহতের হুমকি

amzadপ্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) আমজাদ খান চৌধুরীর লাশ মুসলিম কবরাস্থনে দাফন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী ঐক্যজোট।

রবিবার এক বিবৃতিতে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ও খেলাফতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী এই ঘোষণা দেন।

chardike-ad

তিনি আমজাদ আলীকে কাদিয়ানী ও রাজাকার আখ্যায়িত করেন। বলেন, ‘আমজান খানের লাশ মুসলমান কবরস্থানে দাফন হতে পারে না। আমরা শুনেছি আগামীকাল সোমবার তাকে সামরিক কবরাস্থনে দাফন করা হতে পারে। যদি এটাই সরকারি সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে, অবিলম্বে এই হটকারী সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।’

হাসানাত আমিনী বলেন, ‘এই দেশে কোনো কুখ্যাত কাদিয়ানী ও রাজাকারকে কোনো অবস্থাতেই মুসলমানদের কবরাস্থানে দাফন করতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে ঈমানদার মুসলমানরা তা প্রতিহত করবে।’

তিনি বলেন, ‘অবিশ্বাস্য হলেও এটিই বাস্তবতা যে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দাবিদার সরকারের আমলে একজন মুক্তিযোদ্ধা যখন প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের আমলার বিরুদ্ধে আপমানের অভিযোগ তুলে আত্মহত্যা করেন, তখন দুঃখ প্রকাশ করার মতো, সহানুভূতি জানানোর মতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী সরকারের কাউকে পাওয়া যায়নি। অপরদিকে একজন স্বীকৃত রাজাকার, কুখ্যাত কাদিয়ানী শিল্পপতি, প্রাণ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আমজাদ খান মারা যাবার পর প্রধানমন্ত্রী, আশ্রিত বিরোধী দল, সাবেক বিরোধী দলসহ বিভিন্ন কর্তাব্যক্তিরা দ্রুততার সঙ্গে শোকবার্তা দিয়ে দিলেন। এটা দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি চরম অপমান বৈ কিছু নয়।’

হাসানাত আমিনী বলেন, ‘ইতিহাস সাক্ষী, ১৯৭১ সালে আমজাদ খান পাক সেনাদের সঙ্গী হিসেবে, সেই সেনাদের হয়ে কাজ করেছেন। সে সময় তার অবস্থান ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের বিপক্ষে। অথচ তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শোকার্ত হন, রাষ্ট্র শোকবার্তা দেয়। মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুবের জন্য সামান্য দুঃখ প্রকাশের কারো সময় হয় না। এই হলো সরকারের মুক্তিযোদ্ধাপ্রীতি!’

তিনি বলেন, ‘জীবিত আমজাদের বিরুদ্ধে সরকার কিংবা আন্তর্জাতির অপরাধ ট্রাইবুনাল কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এতেই প্রমাণ হয়, এই বিচার প্রক্রিয়া অস্বচ্ছ, ক্রটিযুক্ত।’

বিবৃতিতে ঐক্যজোটের এই নেতা রাজাকার আমজাদের মরনোত্তর বিচার দাবি করেন।