বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরীয় রাষ্ট্রদূত লি ইয়ান ইয়ং বলেছেন, এ অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত কোরিয়ান ইপিজেডে ( কেইপিজেড) ১৫০টি কোম্পানি বিনিয়োগের অপেক্ষায় রয়েছে । এ বিনিয়োগ সম্পন্ন হলে প্রায় তিন লাখ শ্রমিকের নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তবে এ ক্ষেত্রে জমির মালিকানা হস্তান্তর প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা জরুরি বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত।
কোরীয় রাষ্ট্রদূত মঙ্গলবার দুপুরে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালকমণ্ডলীর সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করা, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার অবসান, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বিদ্যুৎ-সংকট নিরসনের মাধ্যমে বাংলাদেশে আরো বেশি কোরীয় বিনিয়োগ আনা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও কোরীয় দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ-কোরিয়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৪০ বছর’ পূর্তি আগামী সেপ্টেম্বর মাসে উদযাপন করা হবে।
সভায় চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম ২০১০ সালের আগস্ট পর্যন্ত ৩২৮টি কোরীয় কোম্পানি বিনিয়োগ বোর্ডে নিবন্ধিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে কোরীয় বিনিয়োগের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
চেম্বার সভাপতি বাংলাদেশ থেকে আরো বেশি জনশক্তি আমদানির জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানান। একই সঙ্গে কোরিয়ান মার্কেটে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের গন্ডি বৃদ্ধি বাড়ানো ও রুলস অব অরিজিন সহজ করার জন্য রাষ্ট্রদূতের ব্যক্তিগত উদ্যোগ কামনা করেন চেম্বার সভাপতি।
মতবিনিময় সভায় চেম্বারের সহসভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ, পরিচালক মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, মাহফুজুল হক শাহ, এম এ মোতালেব, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), মাহবুবুল হক চৌধুরী (বাবর), মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন চৌধুরী, মোঃ জহুরুল আলম, মোঃ জাহাঙ্গীর ও কোটরার ডাইরেক্টর জেনারেল স্যাম সিক কিম উপস্থিত ছিলেন।
১৩ মে, ২০১৩:
সুত্রঃ নতুনবার্তা