Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সৌদিতে ৯০০ নারী প্রকাশ্যে অফিস খোলার জন্যে ভোটে লড়ছেন

soudi-womenশরিয়া আইনাধীন রাজ্য সৌদি আরবের ইতিহাসে এই প্রথম ৯শ’র বেশি নারী প্রকাশ্যে নিজস্ব অফিস খুলতে পারার ক্ষমতার জন্য ভোটের প্রচারণা চালাচ্ছেন। ডিসেম্বরের ১২ তারিখের আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন হবে এই নারীদের জন্য ভোট দেয়া এবং প্রকাশ্যে অফিস খুলতে পারার একটা বড় সুযোগ।

সৌদি আরবে নারীদের উপর নানাবিধ নিষেধাজ্ঞা চালু রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে নারীদের ক্ষমতায়নের এই ঘটনা দেশটির জন্য চমকপ্রদ। এর আগে এই রকম ঘটনার কোনো নজির নেই। দেশটিতে যেহেতু ইসলামী আইন বা শরিয়া আইন চালু রয়েছে সেহেতু তারা মানবাধিকার আইনের ধার ধারেন না। লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যতা সেখানে প্রবল।

chardike-ad

এই অতিমাত্রায় রক্ষণশীল সুন্নি মুসলিমদের রাজ্যে মৃত সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহ ২০১১ সালে নারীদের রাজনৈতিক অঙ্গনে অংশগ্রহণের জন্য কিছু সুবিধা দিয়েছিলেন।

সমালোচকরা যদিও বলছেন এই পরিবর্তন খুবই নগণ্য, কারণ নারীরা শুধুমাত্র পৌরনির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। তাছাড়া সৌদিতে নারী অধিকার নিয়ে যারা সক্রিয় রয়েছেন তাদের কমপক্ষে মধ্যে ২ জন যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে জানিয়েছেন, প্রার্থী হিসাবে তাদেরকে বাদ দেয়া হয়েছে।

লুহজান হাত্তুল নামের এক নারী নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গাড়ি চালানোয় গত বছর তাকে আটক করা হয়। নারী গাড়ি চালকদের মধ্যে নাসিমা আল-সাদ নামের আরেকজন বলেছেন, তাদের নাম চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।

মাত্র ৩ মাস আগে থেকে সৌদি আরবের নারীরা সর্ব প্রথম ভোট দেয়ার জন্য অন্তর্ভুক্ত হতে পেরেছেন। এই পৌর নির্বাচন বাদে গোটা সৌদিতেই এখনো রাজতন্ত্র চালু রয়েছে। এটা করে একটা ঘরোয়া অভিভাবকত্বের আবরণে নারীদেরকে কিছু সুবিধা দেয়া হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু নারীদের গাড়ি চালানো এমনকি ঘর থেকে বের হওয়ার সময় পুরুষ অভিভাবক ছাড়া বেরুনো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।