Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

‘১০ ডিসেম্বর থেকে সব ফ্লাইটের টিকিট বিক্রি বন্ধ’

atabবিদেশী এয়ারলাইন্সগুলো অযৌক্তিকভাবে ফুয়েল সারচার্জের ট্যাক্সের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে নিয়ে যাচ্ছে। আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফুয়েল সারচার্জের ৫০ শতাংশ কথিত ট্যাক্স টিকিটের মূল ভাড়ার সাথে যুক্ত করে যথাযথ কমিশন প্রদান করতে হবে। অন্যথায় তিন হাজার ট্রাভেলস এজেন্সির মালিক বিদেশী এয়ারলাইন্সের সব টিকিট বিক্রি বন্ধ করাসহ বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে।

গতকাল শনিবার নয়া পল্টনস্থ অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেলস এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আটাবের সভাপতি এস এন মঞ্জুর মোর্শেদ (মাহবুব) এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

chardike-ad

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, এয়ার টিকিটের চূড়ান্ত মূল্য নির্ধারণ করা হয় ভাড়া ও আনুষঙ্গিক ট্যাক্সের সমন্বয়ে। কিন্তু এয়ারলাইন্সগুলো ট্রাভেল এজেন্টদের কমিশন না দেয়ার হীন উদ্দেশ্যে ভাড়ার পরিমাণ কমিয়ে ফুয়েল সারচার্জকে ট্যাক্স দেখিয়ে ট্যাক্সের পরিমাণ বাড়িয়ে ব্যবসা করছে। ফুয়েল সারচার্জ আদৌ কোনো ট্যাক্স নয়। অথচ টিকিটের চূড়ান্ত মূল্যের প্রায় ৫০ শতাংশই এখন ট্যাক্স। রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিদেশী এয়ারলাইন্সগুলো ট্যাক্সের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। এতে জনগণ (যাত্রী) যেমন ঠকছে, তেমনি সরকারও বৈদেশিক মুদ্রা হারাচ্ছে। বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

সংবাদ সম্মেলনে আটাবের সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম, খাদেমুল হুজ্জাজ আলহাজ তাজুল ইসলাম দারোগা, আবু জাফর, আব্দুল জব্বার জলিল, মহাসচিব আসলাম খান, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ, সাবেক মহাসচিব জিন্নুন আহমেদ চৌধুরী দিপু, এ কে এম বারী, নূরুল আলম শাহীন, আব্দুল মতিন ভূইয়া, আব্দুল হামিদ ও আতিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, বিদেশী এয়ারলাইন্সগুলো শুধু ট্রাভেল এজেন্টদের ঠকিয়ে নিজ নিজ দেশে মুদ্রা পাচার করে নিচ্ছে তা নয়, তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থকেও ভূলুণ্ঠিত করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদ্যমান আইনকে তোয়াক্কা না করে একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে সখ্যতা করে এয়ারলাইন্সগুলো ট্যাক্সের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে।

২০১৩ সালে বিদেশী এয়ারলাইন্সগুলো ট্যাক্সের নামে ১৭ হাজার মিলিয়ন টাকা এবং ২০১৪ সালে ২০ হাজার মিলিয়ন টাকা পাচার করে নিয়ে গেছে। এয়ারলাইন্সগুলোকে ফুয়েল সারচার্জ ট্যাক্সকে বিমান ভাড়ার সাথে যুক্ত করে তার ওপর কমিশন প্রদানের জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি ২০১৪ সালের ১৬ নভেম্বর এক সার্কুলার জারি করে। এয়ারলাইন্সগুলো এই নিদের্শনা অদ্যাবধি মানছে না। আটাব নেতারা আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জোর দাবি জানান। অন্যথায় সব এয়ারলাইন্সগুলোর টিকিট বিক্রি বন্ধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।(ইনকিলাব)