Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

নতুন বছর ঘিরে আশা-নিরাশা

economy-2016আজ থেকে শুরু হওয়া নতুন বছরে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে আশাব্যঞ্জক প্রবৃদ্ধির দেখা মিলবে না বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্দে। এমনকি বছরের মধ্যবর্তী সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি নাজুক অবস্থাতেই থাকবে। মূলত মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার আরো বৃদ্ধির সম্ভাবনা ও চীনের শ্লথগতির কারণেই এ অনিশ্চয়তার সূত্রপাত। খবর রয়টার্স।

আইএমএফ প্রধান আরো বলেন, শুধু যুক্তরাষ্ট্র বা চীনের কারণে নয়, বৈশ্বিক বাণিজ্যে শ্লথগতি ও কাঁচামালের নিম্নমুখী দাম এর ওপর নির্ভরশীল দেশগুলোর অর্থনীতির জন্য আরো সমস্যা বয়ে আনবে।

chardike-ad

এর পরও কিছু দেশের আর্থিক খাতে এখনো দুর্বলতা বিদ্যমান ও উদীয়মান বাজারেও কিছু ঝুঁকি রয়েছে। আর এসব কারণেই ২০১৬ সালের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতাশাজনক স্তরে থাকবে। স্বল্প উত্পাদন সক্ষমতা, বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধি ও বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের প্রভাবগুলোও প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক কারণ হয়ে উঠবে।

গত অক্টোবরে আইএমএফ জানিয়েছিল ২০১৬ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে।

 

আইপিওর ক্ষেত্রে ভারতের সেরা বছর হবে ২০১৬

চলতি বছর ভারতের শেয়ারবাজারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব অর্থাত্ আইপিও সবচেয়ে চাঙ্গা অবস্থানে থাকবে বলে আশা করছে দেশটি। আইপিও লেনদেনের মাধ্যমে ২০১৬ সালে ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ সংগৃহীত হবে। দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তা হবে ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। খবর ইকোনমিক টাইমস।

সদ্যসমাপ্ত বছরে গোটা এশিয়ার আইপিও বাজার খুব একটা ভালো অবস্থানে না থাকলেও ভারত এক্ষেত্রে কিছুটা হলে ভিন্ন ছিল। এ সময় দেশটির বিভিন্ন কোম্পানি আইপিও থেকে ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছে, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ৭ গুণ বেশি। চলতি বছর ভারতের আইপিও বাজার এর থেকেও উজ্জ্বল অবস্থানে থাকবে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছেন ব্যাংকাররা। তাদের ধারণা চলতি বছর ৫ বিলিয়ন ডলারের ওপরে আইপিও লেনদেন হবে।

এইচএসবিসির ভারতীয় শাখার ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান সুনীল সাংহাই বলেন, আগামী ১২ থেকে ১৮ মাসের জন্য বড় বড় কিছু চুক্তি অপেক্ষা করছে। আর অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী বিনিয়োগকারীরা এতে অর্থ লগ্নি করবেন।

অস্থিতিশীল বাজার ও শ্লথ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে কয়েক বছর ধরে ভারতের আইপিও বাজার খুব একটা ভালো অবস্থানে ছিল না। এতে এখান থেকে আসা আয়ের পরিমাণ যেমন কম ছিল, তেমনি বিভিন্ন কোম্পানির ঘাড়ে দেনার পরিমাণও বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্যবসায় পরিবেশ সহজ করতে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়ার পর আইপিওর বাজারে পরিবর্তনের হাওয়া লাগে। যার প্রভাবে করপোরেট খাতের আয়ও দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে।

 

সোয়া কোটি পর্যটক সমাগমের আশা ইন্দোনেশিয়ার

ইন্দোনেশিয়া সরকার আশা করছে চলতি বছর তাদের দেশে মোট ১ কোটি ২০ লাখ বিদেশী পর্যটক সমাগম হবে। যার সুবাদে পর্যটন খাতের আয় ১৭২ ট্রিলিয়ন রুপিয়াহতে (১২ দশমিক ৪৬৯ বিলিয়ন ডলার) পৌঁছবে। খবর সিনহুয়া।

ইন্দোনেশিয়ার পর্যটনমন্ত্রী আরিফ ইয়াহিয়া জানান, নতুন বছরে বিদেশী পর্যটকের সংখ্যা ৫ দশমিক ৮১ শতাংশ বেড়ে এক কোটির ওপরে দাঁড়াবে। এ সংখ্যা ২০১৫ সালের লক্ষ্যের চেয়ে অনেক বেশি। এ সময় এক কোটি বিদেশী পর্যটক আকর্ষণের লক্ষ্য নেয়া হয়েছিল।

 

অস্ত্র রফতানিতে অবস্থান ধরে রাখবে রাশিয়া

গত বছর মোট ১৫ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র রফতানি করেছে রাশিয়া। চলতি বছর দেশটি তা আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। খবর আরটি।

রাশিয়ার ফেডারেল সার্ভিস ফর মিলিটারি-টেকনিক্যল কো-অপারেশনের এক কর্মকর্তা জানান, ২০১৫ সালে আমরা ১৫ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র রফতানি করেছি। ২০১৬ সালেও এ ধারা অব্যাহত রাখা হবে। এর মধ্য দিয়ে অস্ত্র রফতানিতে শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের পরই আমাদের অবস্থান ধরে রাখতে চাই।

 

বাণিজ্য ও পর্যটন খাত পুনরুদ্ধারে চীনের সহায়তাপ্রত্যাশী নেপাল

ভূমিকম্প, অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ, বিক্ষোভ মিলিয়ে ২০১৫ সালকে নেপালের জন্য একটি দুর্ভাগ্যের বছর বলা যায়। এতে দেশটির ব্যবসা ও পর্যটন খাত ভেঙে পড়েছে। এ অবস্থায় নেপাল আশা করছে বাণিজ্য, পর্যটন ও জ্বালানি সরবরাহে প্রতিবেশী চীন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে। খবর সিনহুয়া।

নেপাল চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান রাজেশ কাজি শ্রেষ্ঠ বলেন, ২০১৫ সাল আমাদের জন্য ছিল লোকসানের বছর। যেহেতু নেপাল ও চীন এরই মধ্যে সাতটি নতুন বর্ডার পয়েন্ট খুলে দিতে সম্মত হয়েছে, তাই আমি আশা করছি বেইজিং আমাদের সহায়তা করতে আরো এগিয়ে আসবে। বণিকবার্তা।