Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

৮ কোটি ১০ লাখ ডলার উদ্ধারের সম্ভাবনা ক্ষীণ

Bangladesh Bankযুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা ‘অত্যন্ত কম’ বলে মন্তব্য করেছেন ফিলিপাইনের সিনেটর সার্জিও ওসমেনা। এর কারণ হিসেবে চুরি যাওয়া অর্থ ফিলিপাইনের বাইরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা বলেন তিনি। ফিলিপাইনের সংবাদ মাধ্যম ইনকোয়্যারার গতকাল এ তথ্য জানায়।

মাকাতি সিটিতে নিজ অফিসে দেয়া বক্তব্যে ওসমেনা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চুরি যাওয়া অর্থের সন্ধান এখন অনেকটাই নির্ভর করছে সংশ্লিষ্ট ক্যাসিনোগুলোর সহযোগিতার ওপর। রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) মাকাতি সিটি শাখায় আসা এ অর্থ কয়েকটি ক্যাসিনোর মাধ্যমে এরই মধ্যে ফিলিপাইনের বাইরে চলে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

chardike-ad

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিউইয়র্ক ফেডে রক্ষিত ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার আরসিবিসির মাধ্যমে ফিলিপাইনে প্রবেশ করে। পরে তা কয়েকটি ক্যাসিনো ঘুরে ব্যাংকিং খাত থেকে বেরিয়ে যায়। সিনেটর তিওফেস্তো গুইনগোনার নেতৃত্বে দেশটির সিনেট ব্লু রিবন কমিটি বিষয়টির তদন্ত করছে। গুইনগোনা বলেন, ওই অর্থ ফিরে পাওয়া খুবই কঠিন হবে। কারণ এরই মধ্যে তা ‘ব্ল্যাক হোলে’ ঢুকে পড়েছে।

গতকাল সিনেটের শুনানিতে ক্যাসিনোগুলোর বক্তব্যের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়। চুরি যাওয়া অর্থের সন্ধানের জন্য সংশ্লিষ্ট তিনটি ক্যাসিনোর সহযোগিতা এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে সিনেট।

ওসমেনা বলেন, আমরা ক্যাসিনোগুলো থেকে আরো তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছি। সোলেয়ারের (ক্যাসিনো) প্রেসিডেন্ট দেশের বাইরে                       থাকায় আমরা এখনো তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারিনি। তার পক্ষ থেকে যাদের পাঠানো  হয়েছে, তারা এ লেনদেন সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন না।

তিনি বলেন, ক্যাসিনোগুলোর কাছে চুরি যাওয়া এ অর্থ কোথা থেকে এসেছে আর কোথায় গেছে, তা জানতে চেয়েছি। সিনেট ক্যাসিনোগুলো থেকে ওই অর্থের ‘ইলেকট্রনিক ট্রেইল’ বা রেকর্ড চেয়েছে। কিন্তু তারা কতটা সহযোগিতা করবে, সে সম্পর্কে কিছু বলা যাচ্ছে না। কারণ বিদ্যমান আইনের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে, যার সুযোগ তারা নিতে পারে।

গত শুনানিতে আরসিবিসির পক্ষ থেকে ‘ব্যাংকনীতি’র দোহাই দিয়ে বিষয়টিকে এড়িয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে ওসমেনা বলেন, সরকারের চেয়ে অপরাধীরাই দেশে (ফিলিপাইন) বিদ্যমান আইনের সুবিধা বেশি পেয়ে থাকে। উল্লেখ্য, ফিলিপাইনের প্রচলিত আইন অনুযায়ী, দেশটির ক্যাসিনোয় প্রবেশ করা কিংবা তা থেকে বেরিয়ে যাওয়া অর্থের উত্স ও গন্তব্য সম্পর্কে জবাবদিহি করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাধ্য নয়।

এ ঘটনা তদন্ত-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্যের ভিত্তিতে ফিলিপাইনের সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরি হয়। চুরি হওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকিং করপোরেশনের জুপিটার শাখায় ছিল ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সেখান থেকে অর্থের বড় অংশ চলে যায় দেশটির ক্যাসিনোয়। আবার ক্যাসিনোতেও সে অর্থ ছিল আরো বেশ কিছুদিন।