সিউল, ২০ আগষ্ট ২০১৩:
১৯৫০ সালের যুদ্ধের সময় দুই কোরিয়ায় বিভক্ত হয়ে যাওয়া পরিবারগুলো আবারও এক জায়গায় মিলিত হতে যাচ্ছে। এ সংক্রান্ত দক্ষিণ কোরিয়ার একটি প্রস্তাবে উত্তর কোরিয়া একমত হয়েছে বলে পিয়ংইয়ংয়ের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম নিশ্চিত করেছে।
১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সালের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে কোরিয়া দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়ায় বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল। ওই সময় অনেক পরিবারের একটি অংশ দক্ষিণে এবং আরেক অংশ উত্তর কোরিয়ায় ভাগ হয়ে যায়। দক্ষিণ কোরিয়া আলাদা হয়ে যাওয়া ওই পরিবারগুলোর এক হওয়ার একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে। এতে উত্তর কোরিয়া ঐকমত্য পোষণ করলে আবার ওই পরিবারগুলোর মিলিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
১৯ সেপ্টেম্বর উত্তর কোরিয়ার একটি পর্যটন রিসোর্টে দুই কোরিয়ার বিভক্ত পরিবারগুলোর এ মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন হাই গত সপ্তাহে দুই কোরিয়ার বিভক্ত পরিবারগুলোর আবার মিলিত হওয়ার আহ্বান করেন। সম্প্রতি যৌথ উদ্যোগে একটি শিল্প কেন্দ্র উদ্বোধনে একমত হয়েছিল দুই কোরিয়া। এটি ছিল দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা নিরসনের সর্বশেষ পদক্ষেপ। এরপরই জিউন হাই বিভক্ত পরিবারগুলোর এক হওয়ার প্রস্তাব করেন। বিভক্ত পরিবারগুলোর মিলিত হওয়ার প্রস্তাব দিয়ে জিউন হাই বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী হার্ভেস্ট মুন ডে উত্সবের দিনে এমটি কুমগাঙ্গ রিসোর্টে দু’দেশের বিভক্ত পরিবার ও তাদের আত্মীয়-স্বজনরা আবারও একসঙ্গে মিলিত হবেন।’ এর আগে ২০১০ সালে দুই কোরিয়ার আলাদা পরিবারগুলো এক হয়েছিল। চলতি মাসের ২৩ তারিখে কুমগাঙ্গে এই মিলনমেলার বাস্তবায়ন নিয়ে দু’দেশের রেডক্রসের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দুই কোরিয়া বারবারই ফের এক হওয়ার চেষ্টা করে আসছে বেশ আগে থেকেই। কিন্তু প্রায়ই দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। সর্বশেষ ২০১২ সালের ডিসেম্বরে পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা নিয়ে দু’দেশের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়।
ডিসেম্বরে শুরু হওয়া এ উত্তেজনা এপ্রিল পর্যন্ত দু’দেশের মধ্যে মারাত্মকভাবে সক্রিয় ছিল। এই উত্তেজনার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোও যোগ দিয়েছিল। তবে এ ঘটনার মধ্য দিয়ে দু’দেশের সম্পর্কের জটিলতাগুলো বেশ সহজ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। সুত্রঃ আমারদেশ