কাতারের সঙ্গে সৌদি আরবসহ চার আরব দেশ সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয়ার তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজারে। তেলের দাম এক শতাংশ বেড়ে ব্যারেল প্রতি মূল্য ৫০ ডলারের ওপরে পৌঁছেছে।
অবশ্য ট্যাংকারযোগে শিপমেন্ট করা হচ্ছে যে সব তেল তার ওপর বর্ধিত মূল্যের প্রভাব পড়েনি। ভবিষ্যতে সরবরাহ করা হবে যে ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেল তার দাম এক শতাংশ বেড়েছে।
অবশ্য, বিশ্বের সবচেয়ে বড় তরল প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানি দেশ কাতার এবং এ গ্যাসের বাজারে সৌদি ও তার মিত্র দেশগুলোর সিদ্ধান্ত কি প্রভাব ফেলবে তা এখনো বোঝা যাচ্ছে না। কাতারের তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের নিয়মিত ক্রেতা মিশর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবেলা করতে হিমশিম খাচ্ছে মিসর এবং ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে প্রতিমাসে ৮ লাখ ৫৭ হাজার ঘন বর্গ মিটার তরল গ্যাস কাতার থেকে আমদানি করে দেশটি। বিদ্যুৎ উৎপাদনেই এ গ্যাসের সিংহ ভাগ ব্যবহার করে মিসর।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে মাসে এক লাখ ৯০ হাজার ঘন মিটার গ্যাস কাতার থেকে আমদানি করে।
পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের অন্যতম সদস্য দেশ কুয়েত এখনো সৌদি আরবের পদাঙ্ক অনুসরণ করে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দেয়নি। দেশটি ২০১৬ সাল থেকে মাসে দুই লাখ ৮৩ হাজার বর্গ মিটার গ্যাস কাতার থেকে আমদানি করে।
এদিকে, ভারত বা জাপানের মতো এশিয় ক্রেতাদের ওপর সৌদি সিদ্ধান্তের কোনো প্রভাব পড়বে না বলে বাণিজ্যিক মহলগুলো মনে করছে।