Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনে অবৈধ শ্রমিকদের উপচে পড়া ভিড়

malaisiaমালয়েশিয়ায় ই-কার্ড নিবন্ধনের শেষ সময়ে অবৈধ শ্রমিকদের উপচে পড়া ভিড়। বৃহস্পতিবার দেশটির পুত্রাযায়া ইমিগ্রেশন অফিসের সামনে সকাল থেকে হাজার হাজার অবৈধ অভিবাসীদের সমাগম দেখা গেছে।

ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, দেশটিতে অবস্থানরত পাঁচ থেকে ছয় লাখ অবৈধ শ্রমিকদের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৪ হাজার ৫৪১ জন নিয়োগকারীর মাধ্যমে ২ লাখ ৪০ হাজার ৮৯১ জন নিবন্ধন করেছেন এবং নিবন্ধিত শ্রমিকদের মধ্যে বেশির ভাগই কনস্ট্রাকশন এবং সার্ভিস সেক্টরে ই-কার্ড নিবন্ধন করেছেন।

chardike-ad

ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতুক সেরি মুস্তাফার আলী বলেন, চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ই-কার্ড নিবন্ধন শেষ হচ্ছে শুক্রবার। এর আগে নিবন্ধন ঘোষণার অনেক আগে অবৈধ শ্রমিক এবং নিয়োগকর্তারা ই-কার্ড প্রোগ্রামে নিবন্ধন করতে দেরি করেছেন। ১ জুলাইয়ের পর কোনো কোম্পানিতে অবৈধ শ্রমিক ধরা পড়লে জন প্রতি ১০ হাজার রিংগিত জরিমানা করা হবে এবং যদি কোনো দোষ পাওয়া যায় তাহলে তাদের আদালতে উঠানো হবে এবং অবৈধ শ্রমিকদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

তিনি আরও বলেন, শেষ সময়ে অবৈধ শ্রমিকদের সুবিধার্থে সারাদেশে ইমিগ্রেশন বিভাগ ২৮ জুন থেকে ৩০ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত ই-কার্ড নিবন্ধনের কাজ করবে।

malaisiaএদিকে দেশটিতে বসবাসরত অবৈধ বাংলাদেশিরা বৈধ হওয়ার জন্য মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস বারবার আহ্বান জানিয়ে আসছে। সেখানে কর্মরত অবৈধ বাংলাদেশিদের অবিলম্বে ই-কার্ড (টেম্পোরারি পাস) গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে আসছেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা। রি-হিয়ারিং এবং ই-কার্ড নিবন্ধনের আওতায় বৈধ হওয়ার লক্ষ্যে দূতাবাস প্রত্যেকটি প্রদেশে মোবাইল ক্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে কন্স্যুলার সেবা দিয়ে আসছে।

শ্রম কাউন্সেলর মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, মালয়েশিয়া সরকার গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ই-কার্ড কার্যক্রম শুরু করেছে। এটি চলমান রি-হায়ারিং প্রোগ্রামেরই একটি অংশ। যাদের কোনো প্রকার কাগজপত্র নেই তাদেরকে ডকুমেন্ট প্রদানের লক্ষ্যে টেম্পোরারি পাস দেয়া হবে। প্রথমত যাদের কোনো ধরনের কাগজপত্র নেই তারা মালিকের সহায়তায় ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টে গেলে একটি টেম্পোরারি পাস দেয়া হবে। এই কার্ডের মেয়াদ হবে এক বছর। পরে সেই কার্ডটি নিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে পাসপোর্ট করাতে হবে।

দূতাবাসের পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রথম সচিব মো. মশিউর রহমান তালুকদার জানান, রি-হিয়ারিং ও ই-কার্ডের আওতায় শ্রমিকদের বৈধ হতে যা করণীয় প্রত্যেকটি প্রদেশে মোবাইল ক্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে কন্স্যুলার সেবা দিয়ে আসছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৪২ হাজার ৮৭৬ জনকে পাসপোর্ট প্রদান করা হয়েছে।