Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্বামীর ৯ বছর কারাদণ্ড

rapeঘুমন্ত স্ত্রীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ব্রিটেনের একটি আদালত। ওই ব্যক্তি ঘুমন্ত অবস্থায় ধর্ষণ করতেন বলে আদালতে মামলা করেছিল স্ত্রী।

অভিযুক্ত ব্যক্তির বয়স ৩০ বছর। ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রীকে ধর্ষণের পর মোবাইলফোনে ভিডিও ধারণের অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। ব্রিটেনের নিউ ক্যাসল ক্রাউন আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছিল স্ত্রী। ১০ বছরের বেশি সময় ধরে একসঙ্গে থাকা এই দম্পতির ঘরে সন্তান রয়েছে।

chardike-ad

ওই নারীর আইনজীবী বলেন, অভিযোগকারী নারী যখন ঘুমিয়ে ছিলেন; তখন তার স্বামী যৌন-সম্পর্কে লিপ্ত হন এবং মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেন

আদালতে ওই নারী বলেন, তার স্বামী একদিন মোবাইলফোন বাড়িতে রেখে অফিসে চলে যান। এ সময় তিনি স্বামীর মোবাইল ফোনে একাধিক ভিডিও দেখতে পান। আদালতের শুনানিতে ওই নারী বলেন, স্মার্টফোনে ধর্ষণের ভিডিও দেখার পর তার স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। এসময় তাকে বলেন, ‘আমাকে ধর্ষণের ভিডিও এই মাত্র তোমার ফোনে দেখলাম।’

পরে ওই ব্যক্তি আর বাড়ি ফিরে আসেননি। তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমার্পণ করেন। পুলিশ স্টেশনে তিনি কর্মকর্তাদের বলেন, ‘আমার স্ত্রীর সঙ্গে যৌন-সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এতে তার সম্মতি ছিল না। সে আমার ফোনে ভিডিও খুঁজে পেয়েছে।’

এক বিবৃতিতে স্ত্রী বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৭ সালের মার্চ পর্যন্ত তার ওপর ঘৃমন্ত অবস্থায় যৌন-নিপীড়ন চালিয়েছে। তিনি বলেন, আমি বুঝতে পারি যে, আমার স্বামী যৌন নিপীড়ন করেছে। ওই দিন থেকে আমার এবং আমাদের শিশুদের জীবন সম্পূর্ণরূপে উল্টো দিকে মোড় নিয়েছে। আমি এখনো এটা মেনে নিতে পারছি না।

‘আমি কখনোই চিন্তা করতে পারি না যে, সে এটা করবে। সে আমাকে পুরো বোকা বানিয়েছে। আমি তাকে আবার দেখতে চাই না।’

আদালতের প্রসিকিউটর মার্ক জিলিয়ানি বলেন, চলতি বছরের ১৪ মার্চ অভিযুক্ত ব্যক্তি কাজের জন্য বাসা থেকে চলে যান। এসময় মোবাইল ফোন ভুলেই বাসায় রেখে যান। ওই ব্যক্তির স্ত্রী তখন স্বামীর মোবাইল ফোনে ভিডিও খুঁজে পান। প্রাথমিকভাবে ভিডিও রাখা ফোল্ডারে ঢুকতে পারছিলেন না তিনি। এতে তার সন্দেহ তৈরি হয়। পরে অনেক চেষ্টার পর ভিডিও দেখতে পান তিনি।

এতে দেখা যায়, ওই নারী যখন ঘুমিয়ে ছিলেন; তখন তার স্বামী যৌন-সম্পর্কে লিপ্ত হন এবং মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেন। পরে এসব ভিডিও ধ্বংস করা হয়েছে বলে আইনজীবী মার্ক জিলিয়ানি জানিয়েছেন।