Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

গুয়াম দ্বীপ সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য

Guam
প্রশান্ত মহাসাগরে গুয়াম দ্বীপ (ফাইল ফটো)

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের গুয়াম দ্বীপে হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। কিম জং উনের অনুমোদন পেলেই অাগস্টের মাঝামাঝি সময়ে গুয়ামে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে দেশটি। কিন্তু প্রশান্ত মহাসাগরের একটি ছোট দ্বীপে কেন হামলার হুমকি দিচ্ছে উত্তর কোরিয়া? অাসুন জেনে নেয়া যাক গুয়াম দ্বীপ সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য।

উত্তর কোরিয়া থেকে তিন হাজার চারশ কিলোমিটার দূরে গুয়াম দ্বীপটি ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত মূল ঘাঁটি। হাওয়াই আর এশিয়ার মাঝে এটাই একমাত্র ভূমি, যেখানে বিমানবন্দর রয়েছে।

chardike-ad

এই স্থান থেকে একই সঙ্গে কোরিয়া আর তাইওয়ানের আশেপাশের এলাকা কাভার করা সম্ভব। দ্বীপটির বেশিরভাগ এলাকা জুড়েই রয়েছে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি।

দ্বীপটির অর্থনীতির মূল উৎস পর্যটন আর মার্কিন সামরিক ঘাঁটি। সেখানে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার মানুষ বসবাস করে, যাদের মধ্যে আদিবাসী চামোরো রয়েছে। তারা প্রায় ৪,০০০ বছর আগে এখানে বসতি স্থাপন করে। পাশাপাশি রয়েছে জাপানি আর চীনা লোকজন। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অন্য দ্বীপের বাসিন্দারাও থাকে সেখানে।

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হলেও, গুয়ামের বাসিন্দারা মার্কিন নির্বাচনে ভোট দিতে পারে না। দ্বীপটিতে সম্পদ খুবই কম আছে; সবকিছুর জন্য তাদের আমদানির উপর নির্ভর করতে হয়।

ভূভাগ থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও অনেক আগ থেকে গুয়াম দ্বীপটি বিশ্বশক্তির কাছে লোভনীয় স্থান। ১৮৯৮ সালের আগ পর্যন্ত এটির মালিকানা ছিল স্পেনের। ওই বছর স্পেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধে পর এর নিয়ন্ত্রণ পায় যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪১ সালে পার্ল হারবারে আক্রমণের পর জাপানি বাহিনী গুয়ামের দিকে অগ্রসর হয় এবং দ্বীপটি দখল করে নেয়। ওই সময় গুয়ামের ১০ শতাংশ মানুষ জাপানিদের হাতে নিহত হয়।

৭৬ বছর আগে জাপান হানা দিয়েছিল গুয়ামে। এবার সেখানে পরমাণু হামলা চালাতে চায় উত্তর কোরিয়া। এ নিয়ে গুয়ামবাসীর মধ্যে উদ্বেগ বিরাজ করছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও গুয়াম প্রশাসন অভয় দিয়ে বলেছে, গুয়ামে হামলা মানে যুক্তরাষ্ট্রে হামলা। ফলে যেকোনো হামলা থেকে তাদের রক্ষা করা হবে।