ryanairফ্লাইট বাতিল করে যাত্রীদের রোষানলে পড়েছে রায়ানএয়ার। যাত্রীরা বাতিলকৃত ফ্লাইটের তালিকা চেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। অবিলম্বে তারা এসব ফ্লাইটের তালিকা প্রকাশের জন্য রায়ানএয়ারের কর্তৃপক্ষকে আহবান জানান।

উল্লেখ, আয়ারল্যান্ডের এয়ারলাইন্স কোম্পানি রায়ানএয়ার ফ্লাইটের শিডিউল ঠিক রাখতে সম্প্রতি দৈনিক ৪০-৫০টি ফ্লাইট বাতিল করার ঘোষণা দেয়। আগামী ৬ সপ্তাহ এসব ফ্লাইট বন্ধ থাকবে। এ ঘোষণার পর থেকেই কোম্পানিটি বেশ চাপের মুখে পড়ে।

chardike-ad

ফ্লাইটের নিয়মিত সিডিউল ৯০ শতাংশে নিয়ে যেতে চায় কোম্পানিটি। আর এ কারণেই ফ্লাইট সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা চিন্তা করে কর্তৃপক্ষ।

গত বুধবার পর্যন্ত রায়ানের কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত ফ্লাইটের একটি তালিকা প্রকাশ করে। ভোক্তা অধিকারের কথা স্মরণ করে দিয়ে বলা হয়, রায়ানের কর্তৃপক্ষকে বাতিলকৃত ফ্লাইটের পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। যাতে যাত্রীরা অনতিবিলম্বে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।

ফ্লাইট বাতিলের ফলে প্রায় ৪ লাখ যাত্রী ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানা গেছে; যাদেরকে বিকল্প ফ্লাইট বা অর্থ ফেরতের প্রস্তাব দেয়া হবে।

সোমবারের খবরে বলা হয়, নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যা এয়ারলাইন্সকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং পাইলটরা বিকল্প হিসেবে থাকা নরওয়েজিয়ান এয়ারে চাকরি নেওয়ার ফলে রায়ান ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে।

নরওয়েজিয়ান এয়ারের এক মুখপাত্র জানান, আমরা নিশ্চিত করতে পারি এ বছর রায়ান থেকে আসা ১৪০ জন পাইলট এখানে চাকরি নিয়েছে। আগামী বছরে ডাবলিনে আমাদের কার্যক্রম চালাতে আরও অনেক পাইলট নিয়োগের কাজটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কিন্ত এ বিষয়ে রায়ানের কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করেনি।

যাত্রীরা ক্ষুব্ধ: খারাপ আবহাওয়াকে দায়ী করে রায়ান এয়ার বলছে, ফ্লাইট বাতিলের মাধ্যমে শিডিউল ধরে রাখা সম্ভব হবে। যাত্রীরা সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভের সাথে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাতিলকৃত ফ্লাইটের তালিকা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষকে আহবান জানান।

কারেন হিগিং নামে এক যাত্রী টুইট বার্তায় লেখেন, আমাদের ফ্লাইট ঠিক আছে না বাতিল হয়েছে- তা যাচাই করতে আরেকটি দিন কেটে গেছে। আমাদের সর্বশেষ খবর জানান …

ডি মলোনে নামে আরেক ব্যক্তি টুইট করেন, আগামী দুই সপ্তাহে দুইটি ভ্রমণের বুকিং দিয়েছি। ভ্রমণের আনন্দ এখন বিষাদে রূপ নিয়েছে। রায়ানে দ্বিতীয়বার আর ভ্রমণ করছি না।