Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

তুরস্কের এক শহরেই তিন বিমানবন্দর!

Istanbul-Ataturk-Airport
ইস্তাম্বুল আতাতুর্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একাংশ

তুরস্কের বিখ্যাত শহর ইস্তাম্বুলে তৃতীয় বিমানবন্দর নির্মাণ করছে এরদোয়ান সরকার। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ বিমানবন্দরেই প্রথম উড়োহাজাজ উড়বে বলে জানিয়েছেন তুর্কি পরিবহন, সামুদ্রিক ও যোগাযোগ মন্ত্রী আহমদ আরসালান। তিনটি বিমানবন্দর ঐতিহাসিক এই শহরটিকে আধুনিক বিশ্বে আরো গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে।

আহমদ আরসালান বলেন, ‘আমদের পরিকল্পনা হলো এ বিমানবন্দরে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের আগেই প্রথম বিমান উড্ডয়ন করবে। সে বছর তুরস্কের জাতীয় দিবসে (২৯ অক্টোবরে) সেটির জমকালো উদ্বোধন করা হবে। ইতোমধ্যে বিমানবন্দরের প্রায় ৬৮ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। খবর হুররিয়াত ডেইলি নিউজ, আজির নিউজ ও ওয়ার্ল্ড বুলেটিনের।

chardike-ad

কর্তৃপক্ষ আশা করছেন, যাত্রী পরিবহনে এটি ইস্তাম্বুলে অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিমানবন্দরের আতাতুর্ক বিমানবন্দরকেও ছাড়িয়ে যাবে। ১০ বিলিয়ন তুর্কি লিরা (প্রায় পৌনে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) নির্মাণ ব্যয় হবে, যা বাংলাদেশি টাকায় তা ২ হাজার ২৭৩ কোটিরও বেশি। প্রতি বছর ৯০ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। বিমানবন্দরের রানওয়ের একটি ৩.৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৬০ মিটার প্রস্থ এবং আরেকটি রানওয়ে হবে ৪.১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৬০ মিটার প্রস্থ। দ্রুত কাজ শেষ করতে বর্তমানে ৩১ হাজার শ্রমিক কাজ করছে। বিমানবন্দরটিতে ৩০০ যাত্রীর ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ইলাভেটর স্থাপন করা হচ্ছে।

ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, ১৯২৩ সালে তুরস্ক প্রজাতন্ত্র ঘোষিত হয়। দেশটির প্রধান শহর ইস্তাম্বুল পূর্বে কন্সটান্টিনোপল বাইজান্টিয়াম নামে পরিচিত ছিল। উস্মানীয় সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল (১৪৫৩ সালে)। প্রজাতন্ত্র ঘোষণার পর থেকে শহরটি তুরস্কের সংস্কৃতি ও অর্থনীতির কেন্দ্রস্থল। ১৯২৩ সাল পর্যন্ত ইস্তাম্বুলই ছিল তুরস্কের রাজধানী। তুরস্কের বৃহত্তম এ শহরে ১২.৮ মিলিয়ন মানুষ বসবাস করেন। যার আয়তন ৫.৩৪৩ বর্গ কিলোমিটার।

সর্বপ্রথম ১৯২৪ সালে ইস্তাম্বুলে কামাল আতাতুর্ক বিমানবন্দর উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের সময় এর নাম ছিল ইয়াসিলকয় বিমানবন্দর। ১৯৮০ সালে এটি মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের সম্মানার্থে ইস্তাম্বুল আতাতুর্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামে নামকরণ করা হয়। এখন পর্যন্ত এটি তুরস্কের বিমান পরিবহনের কেন্দ্রস্থল। ২০১৭ সালে সাবিহা গোকেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করা হয়। সাবিহা গোকেন ছিলেন আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের পালিত কন্যা ও তুরস্কের যুদ্ধ বিমানের প্রথম নারী পাইলট।