Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

অসাধারণ কিছু কোরিয়ান সিনেমা

korean-cinemaপ্রতিটা দেশের সিনেমা তাদের দেশের সামাজিক প্রেক্ষাপট, আবেগ, ইতিহাস, ঐতিহ্য, রুপকথা ইত্যাদিকে গল্পের আকারে সিনেমার মাধ্যমে তুলে ধরে। যখনই আমরা কোন সিনেমার সাথে আমাদের জীবনের কোন ঘটনা বা আবেগীয় মুহুর্তের মিল খুঁজে পাই তখন সেই সিনেমা দেশ, কাল, সংস্কৃতি ছাপিয়ে হয়ে ওঠে আমাদের আকাংক্ষিত এবং হৃদয়গ্রাহী সিনেমা ।

যাইহোক, আজ আমি তেমনই হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া, ভাবনার জগতে নাড়া দেয়া কিছু কোরিয়ান মুভির গল্প নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে কোরিয়ান সিনেমার জগতে পা বাড়াই।

chardike-ad

১) I Saw The Devil (2010): সিনেমাটি এশিয়ান চলচিত্র পুরস্কার, অস্টিন ফিল্ম ক্রিটিক্স এ্যাসোসিয়েশন এ্যাওয়ার্ড , ব্যাক সাং আর্ট এ্যাওয়ার্ড, ব্লু ড্রাগন এ্যাওয়ার্ড , ব্রাসেলস ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যাল অফ ফিল্ম এ্যাওয়ার্ডসহ মোট ১৬ টি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে এবং আরও ১৯টি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছে।

জ্যাং কিয়ুং চুল একজন ভয়ংকর খুনী । যে কিনা মানসিক ব্যাধিগ্রস্থ। সে খুব ভয়ংকর পদ্ধতিতে এবং নারকীয় কায়দায় একের পর এক খুন করে যেতে থাকে। সে তার শিকারকে এমন নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে যে তা দেখলে ভয়ে আতঙ্কে শিউরে উঠতে হয়। সে অনেকটা নাটকীয় কায়দায় তার শিকার হিসেবে নারী ও শিশু মেয়েদেরকে অপহরন করে এরপর পিশাচীয় কায়দায় তাদের খুন করে একধরনের সুখ অনুভব করে। পুলিশ অনেক চেস্টা করেও এটা কোনভাবেই বের করতে পারছিল না যে কে এই খুনী বা কিভাবে কোথায় সে এই হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটাচ্ছে।

একদিন জো ইয়ন, জ্যাং কিয়ুং চুলের শিকারে পরিণত হয় এবং তার বীভৎস মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায় । জো ইয়ন ছিলেন সেই এলাকার অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ চিফের মেয়ে । জো ইয়ন এর স্বামী সো হিয়ুন ছিলেন একজন নামকরা গোয়েন্দা কর্মকর্তা । জো ইয়ন এর মৃত্যুর পর সো হিয়ুন প্রতিজ্ঞা করে যেভাবেই হোক সে জো ইয়ুন এর খুনীকে খুঁজে বের করবে তার সর্ব ক্ষমতা দিয়ে । আর এর জন্য যদি তাকে দানব হয়ে অমানবীয় এবং দানবীয় কাজও করতে হয় তবে তাই সে করবে।

এরপর ঘটতে থাকে সব চাঞ্চল্যকর এবং লোমহর্ষক ঘটনা । ঘটনার বীভৎসতা এবং ভয়াবহতা কিছুক্ষনের জন্য হলেও আপনার মনে এক অজানা আতংক তৈরী করবে। সিনেমাটির প্রতিটা দৃশ্যে রয়েছে টান টান উত্তেজনা যা আপনাকে পরে কি হয় কি হয় এটা জানার জন্য উৎসাহী করে তুলবে । তো ঘুরে আসুন এই টান টান উত্তেজনায় ভরপুর সিনেমার জগত থেকে।

২) Silenced (2011): সিনেমাটি সাউথ কোরিয়ার গুয়াংজু প্রদেশের বাক ও বধিরদের স্কুলে ঘটে যাওয়া একটি সত্য ঘটনার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। কাং ইন হো কোরিয়ার মুজিন শহরের একটি বাক ও বধির স্কুলে শিক্ষক পদে নিযুক্ত হোন। এখানে তাকে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর পাঠান। এই স্কুলে যোগদান করার পর কাং ইন হো একটি বিষয় লক্ষ্য করে যে, এখানকার ছাত্র ছাত্রীরা খুব মন মরা হয়ে থাকে এবং তারা ঠিক স্বাভাবিক আচরন করছে না ।

একদিন স্কুল ছুটির পর ইন কাং ইন হো বাড়ি যাবার জন্য গাড়িতে উঠতে যাবে এমন সময় সে স্কুল বিল্ডিঙয়ের উপরের দিকে তাকিয়ে দেখতে পায় যে, তার ছাত্রী ইয়োরি বিপদজনকভাবে জানালার কার্নিশে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। ইয়োরি যে কিনা মানসিক প্রতিবন্ধী।

কাং হো ভয় পেয়ে তাকে তাড়াতাড়ি জানালার কার্নিশ থেকে নামাবার জন্য ইয়োরি এর কক্ষে যায়। এরপর ইয়োরি তাকে এক নিষ্ঠুর জগতের দরজা দেখিয়ে দেয়। যেখান থেকে কাং হো একের পর এক নিষ্ঠুর বেদনাদায়ক ঘটনা উদঘাটন করতে থাকে।

কাং হো জানতে পায় যে, ঐ স্কুলের প্রধান আর সহকারী শিক্ষকরা মিলে এখানকার বাক ও বধির শিশুদের নানাভাবে যৌন নির্যাতন করে। তাদের এই যৌন নির্যাতন থেকে এখানকার ছেলে শিশুরাও বাদ যায়নি। এতসব নিষ্ঠুর এবং বীভৎস নির্যাতনের কথা জানার পর কাং হো মুজিন শহরের একজন মানবতা কর্মীর সো ইয়ো জিন এর সাথে যোগাযোগ করে এই শিশুদের রক্ষা করার জন্য। আদালতে মামলা হয় । এই বাক এবং বধির শিশুরা তাদের সমস্ত বুদ্ধিমত্তা আর ইচ্ছাশক্তি দিয়ে এই মামলায় লড়াই করে। কিন্তু যৌন অপরাধীরা টাকা এবং ক্ষমতা বলে আদালতের এটর্নিকে কিনে নেয় এবং মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের খালাস করে দেয়।

অপরদিকে অপরাধী পক্ষ টাকা দিয়ে এইসব বাক ও বধির শিশুদের অভিভাবকদের কাছে থেকে ক্ষমা পত্র আদায় করে নেয় যার ফলে কাং হো এবং সো ইয়ো জিন এর আর কিছু করার থাকে না। কারণ এই শিশুদের অভিভাবকরা ক্ষমা পত্রে সাক্ষর করার ফলে আদালত আর কোনভাবেই অপরাধীদের সাজা দিতে পারবে না।

কিন্তু নির্যাতিত শিশু জিয়ন মিং সো এটা মেনে নিতে পারে না। সে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য পথে নামে। তারপর? তারপর কি হয় তা জানতে হলে ছবিটি দেখতে হবে আপনাদের। আমাদের পৃথিবীতে যেখানে সুস্থ শিশুরাই মারাত্মক যৌন নির্যাতনে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে থাকে সেখানে প্রতিবন্ধী শিশুরা কতটা অসহায় এবং দ্বিগুণ ঝুঁকিতে থাকে তা এই সিনেমাটি দেখলে কিছুটা অনুমান করা যায়।

৩) Love, Lies ( 2016): সো ইয়ুল এবং ইয়ন হি দুজন খুব ভাল বন্ধু। তাদের পরিচয় হয় কোরিয়ার একটি গান শেখার প্রতিষ্ঠানে । সেখানে গান শেখার পাশাপাশি এই দুজনের বন্ধুত্বও গভীর হতে থাকে। তাদের দুজনেরই স্বপ্ন থাকে তারা বড় হয়ে অনেক বড় এবং বিখ্যাত গায়িকা হবে। সো ইয়ুল ইয়ং ও একে অপরকে ভালবাসে । ইয়ং ও একজন বিখ্যাত গীতিকার যার লেখা অনেক গান তখন ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল।

ইয়ং ও সো ইয়ুলকে খুব ভালবাসতো এবং সো ইয়ুল ও ইয়ং ও কে ভালবাসত। তারা একে অপরের প্রথম ভালবাসা ছিল। কিন্তু তাদের ভালবাসা কিছুদিন পরেই ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে যেতে থাকে কারন ইয়ং ও সো ইয়ুলের বান্ধবী ইয়ন হি এর গান শুনে তাকে ভালবেসে ফেলে। ইয়ং ও ইয়ন হি কে তার লেখা গান গাইবার জন্য প্রস্তাব করে। গানের এলবাম বের করার পরিকল্পনা করে। ইয়ন হি গান গেয়ে আস্তে আস্তে অনেক প্রশংসা কুড়োতে লাগল। এভাবে ধীরে ধীরে ইয়ং ও এর সাথে সো ইয়ুল এর দূরত্ব বাড়তে থাকে। একদিন সো ইয়ুল ইয়ং ও এবং ইয়ন হি কে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায়। তখন সো ইয়ুল উপলব্ধি করে যে , তার প্রথম ভালবাসা ইয়ং ও আর তার নেই।

এরপর সো ইয়ুল প্রতারিত হয়ে বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ নিতে থাকে যা শেষ পর্যন্ত ইয়ং ও এবং ইয়ন হি কে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দেয়। এরপর? থাক, এরপর কি হয় তা নাহয় আপনারাই দেখে নিন।

৪) Descendants of the Sun: ২০১৬ সালের শ্রেষ্ঠ ড্রামা বলতে পারেন এটাকে। Song Joong Ki সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন। তার আরেকটা পরিচয় হচ্ছে সে সিক্রেট এলিট ফোর্সেরও একজন সদস্য। প্রায়ই বিভিন্ন গোপনীয় মিশনে তাকে ছুটে যেতে হয় বিশ্বের নানা প্রান্তে। Song Hye Kyo একজন ডাক্তার। একটা এক্সিডেন্টকে কেন্দ্র করে দুজনের মাঝে পরিচয়, প্রেম হয়। কিন্তু Song Joong Ki-র পেশাগত গোপনীয়তার কারণে সে সম্পর্ক ভেঙ্গেও যায় আবার। সময় বয়ে যায়। বহুদিন পর দুজনের আবার দেখা হয় ইরাকে, জাতিসংজ্ঞের একটা শান্তি মিশনে। দুজনের মাঝেই আবার পুরানো আবেগ জেগে উঠে, চলতে থাকে কাছাকাছি আসার চেষ্টা।

ব্যক্তিগত দ্বন্ধ, দেশপ্রেম, মানবতার প্রতি প্রেম, পেশাগত দায়িত্ববোধ সব মিলিয়ে Descendants of the Sun অসাধারণ একটা ড্রামা। এই ড্রামা দেখার সময় আপনার শুধু একটা কথাই মনে হবে- কোরিয়ান একটা টিভি ড্রামায় এত বিশাল পরিমাণ বাজেট রাখা কিভাবে সম্ভব!

৫) Doctors: ‘ডাক্তারদের ব্যক্তিগত জীবন বলতে কিছু থাকে না’– এই উক্তির একটা বাস্তব প্রতিফলন পাবেন এই ড্রামায়। গত বছরের সেরা ড্রামার তালিকায় এটাকেও রাখতে পারেন অনায়াসেই। ছোট বেলায় Park Shin Hye-র স্বপ্ন ছিল একজন কুক হবে, তার দাদীমার সাথে তাদের পারিবারিক রেঁস্তোরাটি চালাবে। কিন্তু ডাক্তারের ভুলের কারণে সাধারণ এপিন্ডেক্সের অপারেশান করার সময় তার দাদী মারা যান। পার্কের আশা ছিল ডাক্তার অন্তত তার ভুলটুকু স্বীকার করে আন্তরিক ভাবে স্যরি বলবে। কিন্তু স্যরি দূরে থাক, বরং সেই ডাক্তার তাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল পারলে আমাকে ভুল প্রমাণ করে দেখাও!

জিদ চেপে গেল তার। সপ্তাহে মাত্র ১০ ঘন্টা ঘুমাতো সে। বাকি সময় পার্ট টাইম চাকরি আর পড়াশোনা করে কাটাত। তার ডাক্তার হওয়ার পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল তার দাদীমার মৃত্যুর আসল কারণ খুঁজে বের করা। কিন্তু ডাক্তার হয়ে যাবার পর অনুধাবন করল যে প্রতিশোধ কখনো একজন ডাক্তারের মূল লক্ষ্য হতে পারে না। মানুষের জীবন বাঁচানোই তার প্রথম এবং একমাত্র কাজ। সেই মানুষটি যদি তার শত্রু হয়, তবুও।

৬) W–Two Worlds: ২০১৬ সালের আরেকটি মাস্টারপিস কোরিয়ান ফ্যান্টাসি ড্রামা হল W – Two Worlds. ‘ডব্লিও’ হচ্ছে কোরিয়ার বিখ্যাত একটি কমিক ওয়েভটুন। ওয়েভের পাশাপাশি পাঁচ বছরে ৩৩ টি বইও বেরিয়েছে- কমিকটির জনপ্রিয়তা বোঝাতে এইটুকু তথ্যই যথেষ্ট! ৩৪ নাম্বার বইয়ে এন্ডিং কি হবে সেটা আগে ভাগে জানার জন্য চীফ সার্জন গল্পের মূল নায়িকা Han Hyo Joo কে তার কমিক রাইটার বাবার কাছে পাঠায়। কিন্তু সে তো আর জানে না তার বাবার সৃষ্টি করা কমিক জগতটি এখন আর কমিকে সীমাবদ্ধ নেই! কমিকের ভেতরেই নতুন একটা পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছে! ভাগ্যের পরিহাসে হান জু কমিক রাজ্যে চলে আসে। এখানে এসে সে প্রেমে পড়ে কমিকের হিরো Lee Jong Suk-এর। কিন্তু দুই পৃথিবীর এই দুই বাসিন্দার এই অসম্ভব প্রেমের শেষ পরিণতিটা কি হবে?

৭) You Who Came from the Stars: এশিয়ার টাইটানিক হিসেবে খ্যাত ২০০৩ সালে মুক্তি পাওয়া My Sassy Girl মুভির সেই অদ্ভুতুড়ে, বদরাগী কিন্তু প্রচন্ড মায়াবী মেয়েটির কথা মনে আছে আপনাদের? The Girl ভূমিকায় অভিনয় করা Jeyon Ji Hyeon দীর্ঘ বিরতির পর অবশেষে এই টিভি ড্রামার মাধ্যমে আবার অভিনয়ে ফিরলেন এবং ফিরেই আবার বাজিমাত করলেন। কেন্দ্রীয় চরিত্রের অপর অভিনেতা Kim Soo Hyun একজন এলিয়েন। চারশ বছর আগে এক মিশনে তারা পৃথিবীতে এসেছিল। মিশন শেষে তার দলের বাকি সবাই ফিরে যেতে পারলেও দূর্ভাগ্যক্রমে সে পৃথিবীতে আটকা পড়ে যায়।

পৃথিবীর আলো বাতাসে দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকতে তার সমস্যা না হলেও নির্দিষ্ট সময় পরপর তাকে পরিচয় বদলাতে হত। এই দীর্ঘ সময় পৃথিবীতে থেকে সে একটা বিষয়ই শিখেছে, মানুষের নিজেদের ব্যাপারে সে কখনো নাক গলাবে না। এতে কখনো সমস্যার সমাধান হয় না বরং বাড়ে। এই নীতি মেনেই সে ভালোভাবে পৃথিবীতে চারশ বছর কাটিয়ে দিয়েছিল, কোন সমস্যা হয়নি। তার নিজ গ্রহে ফেরত যাওয়ার আর মাত্র তিন মাস বাকি। ঠিক এই সময়েই সে তার পৃথিবীতে কাটানো চারশ বছর সময়ের মাঝে সবচেয়ে বড় ভুলটি করে বসে, তার পাশের ফ্ল্যাটে উঠা অভিনেত্রী মেয়েটির প্রেমে পড়ে! আর এখান থেকেই গল্পের শুরু হয়।

৮) 49 Days: কোরিয়ান মিথ অনুযায়ী কেউ যদি তার নির্দিষ্ট সময়ের আগে মারা যায় তবে গ্রিম রিফার তাকে ৪৯ দিনের একটা সময় দেয়। এই সময় তার আত্মা অন্য একজনের শরীর ব্যবহার করে বেঁচে থাকতে পারবে এবং তাকে তার নিজের শরীরে ফেরৎ আসার জন্য এই সময়ের মাঝে রক্তের সম্পর্কের বাইরে ভিন্ন তিন জন মানুষ থেকে তিন ফোঁটা প্রকৃত ভালোবাসার অশ্রু সংগ্রহ করতে হবে। অপ্রত্যাশিত একটা এক্সিডেন্টের কারণে Lee Yo Won তার নির্ধারিত সময়ের আগেই মরতে বসে। গ্রিম রিফার তাকে বেঁচে উঠবার একটা সুযোগ দেয়। পুনরায় জীবন পাওয়ার জন্য রক্তের সম্পর্কের বাইরে এমন তিন জন মানুষের কাছে থেকে প্রকৃত ভালোবাসার অশ্রু সংগ্রহ করতে হবে তাকে। সে এই সময় অন্য একজনের শরীর ব্যবহার করতে পারবে কিন্তু শর্ত হচ্ছে তার আসল পরিচয় কাউকে সে জানাতে পারবে না।

এই সুযোগ পেয়ে তো সে মহা খুশী। তার আবার বেঁচে উঠে ঠেকায় কে! তাকে ভালোবাসে এমন লোকের তো আর অভাব নেই! কিন্তু কাজে নামার পরই সে বুঝতে পারে আসলে সব অশ্রু ভালোবাসার অশ্রু না। এতে লোক দেখানো অংশই বেশি থাকে। নিজ স্বার্থের জন্যই সবাই তার সাথে ভালোবাসার অভিনয় করত, আসলে তাকে সত্যিকার অর্থেই ভালোবাসে এমন মানুষ নিজ পরিবারের বাইরে একজনও নেই! বেঁচে থাকার তাগিদে শুরু হয় তার ৪৯ দিনে তিন ফোঁটা প্রকৃত অশ্রু খুঁজে পাওয়ার সংগ্রাম।